শব্দই শক্তি, শব্দ ভালোবাসতিস তুই।
তাঁর ১৩৩-তম জন্মদিনকে সামনে রেখে এই লেখা

তোর জন্য তিনটি শব্দসজ্জা
তমাল সাহা

এক)
হাসি

শীত পড়েছে
নাকে তেল দিয়ে ঘুমাই,কী আরাম!
হঠাৎ মনে পড়ে গেল
আজ যেন কার জন্মদিন!
ক্ষুদিরাম…

ভেবেছিলাম লিখব প্রেমের পদ্য
বোমার বিস্ফোরণে ঘুম ভেঙে গেল সদ্য।
মুখটি মনে পড়ে গেল
ভেসে উঠলো ঝুলন্ত একটি দড়ি–ফাঁসি।
আরেকটি দৃশ্য স্পষ্ট দেখতে পেলাম
মুখে লেগে আছে দুর্জয় হাসি।

ঘুরতে যাচ্ছি, মা!
মা বলে, যাই বলতে নেই,
বলতে হয় আসি।

দূই)
বিজয়ী পালক

রাষ্ট্রকে গালি দিয়ে কি লাভ?
শুধু শুধু সময় নষ্ট।
এবার সামনে এসে দাঁড়াও, হও স্পষ্ট।
কাজে হও সক্রিয়
তার মতো হতে হবে জনপ্রিয়।

অমন শিরদাঁড়া টানটান
চেতাবনি বুক কার
গলদেশ বেঁকিয়ে
মাথাটা আকাশের দিকে উঁচানো!
জানো জানো,তাকে চেনো।

এই হচ্ছে ক্ষুদিরাম!
হাতে বিস্ফোরক
ছুটছে দুরন্ত বারুদ বালক–
বদাম বুম… সে কী আওয়াজ!

কি ভাবছো?
মাথায় গুঁজবে নাকি
অমন বিজয়ী পালক!

তিন)
বোমা

হাতে বোমা!
একি কোনো খুন?
এতো বিপ্লবী আগুন।

তোদের জন্যই তো
যুগে যুগে বোমা!
অত্যাচারী শাসক তুই!
তোকে নেই কোনো ক্ষমা।

এটা তো প্রতিরোধে
প্রতিশোধী উচ্চারণ।
এটাই প্রকৃত যুগান্তর,
রাজনৈতিক অনুশীলন।