অবতক খবর,২১ নভেম্বর: আগরতলার যে হোটেলে সায়নী সহ তৃণমূলের অন্যান্য নেতারা রয়েছেন সেখানে রবিবার হানা দেয় আগরতলা থানার পুলিশ। তাদের অভিযোগ সায়নী ঘোষের গাড়ি ধাক্কা মেরেছে এক ব্যক্তিকে। এছারাও সভায় কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সায়নীর সঙ্গে কথা বলে তাঁকে থানায় নিয়ে যেতে চায় পুলিশ। কুণাল ঘোষ বাধা দিয়ে বলেন কোনও মহিলাকে এইভাবে বিনা নোটিশে তুলে নিয়ে যাওয়া যায় না। পুলিশ সেই নোটিশ দেখাতে না পারায় কুণাল জানিয়ে দেন যে সায়নীকে নিয়ে পরে থানায় যাবেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, কিছুক্ষন আগেই মাথায় হেলমেট পরে বিজেপি কর্মীরা জড়ো হয়েছে পূর্ব আগরতলা থানার বাইরে। দুই দলের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে গেলে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের গাড়ি ভাংচুর করা হয় অলে অভিযোগ। জানা গেছে গুরুতর আহত হয়েছেন নির্মল শর্মা,প্রবীর বৈদ্য,আল্পনা দেব বর্মা এবং রাজেশ সাহা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপি নেতা নবেন্দু ভট্টাচার্য জানিয়েছেন থানার বাইরে সাধারন মানুষ জড়ো হয়েছেন।
বিগত কয়েকদিনে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ত্রিপুরার পরিস্থিতি। গতকালই আগরতলা পুরসভার দশ নম্বর ওয়ার্ডের ইন্দ্রনগরে তৃণমূল প্রার্থী পান্না দেবের হয়ে প্রচারে করছিলেন ফিরহাদ হাকিম ও বাবুল সুপ্রিয়। তৃণমূলের সভা চলাকালীন তাদের মঞ্চের মাইক ও আলো বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। অথচ ওই সভার পাশেই বিজেপির সভায় আলো, মাইক সবই ছিল। শুধু তাই নয়, আগরতলা পুরসভায় দশ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী পান্না দেবকেও আক্রমণ করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি-র বিরুদ্ধে৷ আক্রান্ত তৃণমূল প্রার্থী হাসপাতালে ভর্তি।