অবতক খবর,২৯ নভেম্বরঃ এবার ত্রিশুলকে অস্ত্র করে গলার এফোঁড়-ওফোঁড় করে দেওয়ার ঘটনা ঘটল কল্যাণীর গয়েশপুরে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার অর্থাৎ ২৭শে নভেম্বর রাতে গয়েশপুর পৌরসভার ১৪ নং ওয়ার্ডের আনন্দ পল্লী এলাকায়। ত্রিশূল বিধেছে ভাস্কর রাম নামে এক যুবকের গলায়। আর এই ঘটনায় কল্যাণী থানার পুলিশ বিক্রম সরকার এবং জয় বণিক নামে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। উল্লেখ্য, অভিযুক্ত দুজনই সিপিআইএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই-এর স্থানীয় নেতা।
রবিবার রাতে যখন এই ঘটনা ঘটে তখন বাড়িতে একাই ছিলেন ভাস্কর। ভাস্করের সাথে অভিযুক্তদের কোন বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। আর সেই সময়ে ওই ঘরে পড়ে থাকা ত্রিশূল তুলে নিয়ে তার পেছনের অংশটি তারা গেঁথে দেয় ভাস্করের গলায়। ভাস্করের চিৎকার শুনে ছুটে এসে আশেপাশের বাসিন্দারা দেখেন তাঁর গলায় ত্রিশূল বেঁধে রয়েছে। তবে ঘটনার পরেই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। স্থানীয়দের তৎপরতায় ভাস্করকে তড়িঘড়ি কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সেখান থেকে রেফার করে দেওয়া হয় কলকাতায়। এক মুহুর্ত সময় নষ্ট না করে ভাস্করকে নিয়ে ছোটা হয় কলকাতা এনআরএস হাসপাতালে। অবশেষে এনআরএস হাসপাতালের অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের তৎপরতায় ভাস্করের গলা থেকে ত্রিশূল বার করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ভাস্করের অবস্থা এখন স্থিতিশীল।
ভাস্করের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার দিন রাতেই অভিযুক্ত বিক্রম সরকার(এসএফআই গয়েশপুর লোকাল কমিটির সম্পাদক) এবং জয় বণিক(সহ সম্পাদক)-কে গ্রেপ্তার করেছে কল্যাণী থানার পুলিশ। অভিযুক্ত দুজনেই হরিণঘাটা মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র। গত সোমবার ধৃতদের কল্যাণী মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
কিন্তু আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে অভিযুক্ত জয় বণিক বলেন,’ঘটনার দিন রাতে আমি ঘটনাস্থলের আশেপাশেই ছিলাম না। আমি দাদার জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। আমাকে পুলিশ জোর করে তুলে এনেছে। আমার ভবিষ্যৎ নষ্ট করতে এই চক্রান্ত করা হয়েছে।’
অন্যদিকে উক্ত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জানিয়েছেন,”যার উপর আক্রমণ হয়েছে তাঁর প্রতিবেশীরা বলেছেন, মাঝেমধ্যেই কেউবা কারা এই বাড়িতে আসতো এবং ‘ডিলিট’ শব্দ বলে চলে যেত। কিন্তু সেটা কি তা আমরা জানি না। পুলিশ তদন্ত করুক, এই ঘটনার পেছনে আসল রহস্য কি!”
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত জয় বণিকের বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।