অবতক খবর ,ঝাড়গ্রাম ::- কোথায় গেল গায়েব হয়ে যাওয়া ১৮টি বন্দুক? লালগড় থানার মালখানা থেকে চুরি যাওয়া বন্দুকের হদিশ পেতে এক সাব-ইনস্পেক্টরকে গ্রেপ্তারের পর এখন কার্যত মরিয়া জেলা পুলিশ। লালগড় থানার মালখানা থেকে চুরি যাওয়া ১৮ টি বন্দুকের মধ্যে উদ্ধার হয়েছে একটি বন্দুক এবং সুপ্রিয় দে নামে এক ব্যক্তিকে কলকাতার বাগুইহাটি থেকে গ্রেপ্তার করে লালগড় থানার পুলিশ । সুপ্রিয় দে কে গতকাল কোর্টে তোলা হলে ঝাড়গ্রাম আদালত ৮ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন দৃত সুপ্রিয় কে । এবং থানার মালখানা থেকে বন্দুক চুরি যাওয়ার ঘটনায় বিনপুর থেকে দৃত বাবা ছেলের মধ্যে বাবা সুধাংশু সেনাপতি কে বার্ধক্যজনিত কারণে গতকালের জেল হাজতে পাঠানো হয় তাকে ।
সোমবার তারাপদ টুডু সহ আরো দুজনকে ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হলে পুলিশের পক্ষ থেকে নয় দিনের জেল হেফাজত চাওয়া হয় কিন্তু বিচারক তিন জনকেই পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতে নির্দেশ দেন । এছাড়াও এদিন ২৫ এবং ২৯ নম্বর অস্ত্র আইনের ধারা যুক্ত করা হয়েছে মামলার সঙ্গে ।
মালখানার চুরি যাওয়া ১৮ টি বন্দুকের মধ্যে একটি বন্দুক কোথা থেকে উদ্ধার হয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে সেই বিষয়ে কোনো খোলাসা করেনি পুলিশ । পুলিশ সূত্রে জানা যায় এই অস্ত্র চুরির ঘটনায় বড় একটি চক্র হয়েছে ।
মালখানা থেকে বন্দুক চুরি করার দায়ে ধৃত খোদ পুলিশ কর্তা। তারাপদ টুডু নামে এক পুলিশ লালগড় থানা থেকে ১৮টি বন্দুক চুরি করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। তখন লালগড় থানায় এএসআই পদে কর্মরত ছিলেন তিনি। অভিযোগ ওঠে মালখানার দায়িত্বে থাকা ওই পুলিশ কর্তাই চুরি করেছে বন্দুক। বিভাগের ভেতরে তদন্ত করে প্রমানিত হয় সেই অভিযোগ। তার ভিত্তিতে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে লালগড় থানার পুলিস।
এই ঘটনায় এসআই সহ জড়িত ছিলেন আরও ৩জন। বর্তমানে পশ্চিম মেদিনীপুরের জামবনি থানায় কর্মরত রয়েছেন তারাপদ টুডু। তিনি ছাড়াও ধৃতদের মধ্যে রয়েছে একজন এনভিএফ কর্মী লক্ষ্মীরাম রানা এবং দীলিপ ও সুধাংশু নামে দুই গ্রামবাসী।