অবতক খবর , সংবাদদাতা , কুলপি :-    রবিবার বিকালে কুলপি বিধানসভার দক্ষিণ গাজীপুর পঞ্চায়েত ছামনা বনি এলাকায় ভোট পরবর্তী পর্যায়ে শান্তি ফেরাতে কুলপি ওসি তরুণ রায় উদ্যোগ নিয়ে এক টেবিল বসালো কুলপি বিধানসভা বিধায়ক যোগ রঞ্জন হালদার, কুলপি যুব তৃণমূল সভাপতি তারকনাথ প্রামানিক, কুলপি তৃণমূল কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক সুপ্রিয় হালদার সহ সকল নেতাদের।

ঐ বৈঠকে কামারচক পঞ্চায়েত সদস্য নূর হাবিব পুরকাইত হাজির ছিলেন । তবে গাজীপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সংখ্যা লঘু নেতা আব্দুর রহিম মোল্লা হাজির হন নি। তার পারিবারিক কারণ ছিল বলে দাবী করেন তিনি।

কুলপি বিধায়ক যোগ রঞ্জন হালদার  বলেন শান্তি ফিরেছে গাজীপুর । গাজীপুর উন্নয়ন চলছে। আপনি গাজীপুর গিয়ে ঘুরে আসুন । এদিকে কুলপি নিশ্চিন্ত পুরে ঘর তৈরি ক্ষেত্রে মিডলম্যান বিজয় কাজ করছেন বলে বিধায়ক দাবী করেন । বিজয় কি কুলপি থানার স্টাফ-এটাও জানতে চান আধিকারিককে । কুলপি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক সুপ্রিয় হালদার দাবী করেন, বিজয় কলকাতা পুলিশ কাজ করে। তিনি বলেন বিধায়ক  যোগ রঞ্জন হালদার লিখিত অভিযোগ দিক ।

পাল্টা ভাবে বিধায়ক বলেন, বিধায়ক মুখের কোথায় অভিযোগ । যা শুনে পুলিশের আধিকারিক অস্বস্তি পড়ে যান ।এদিকে কুলপি ব্লক তৃণমূল যুব সভাপতি দাবী করেন, একটি পোর্টাল আমাদের মধ্যে রাজনীতি ভাগ করে ফায়দা তুলছে । বিধায়ক তখন দাবী করেন, ঐ পোর্টাল সাংবাদিক তোমার পরিবারের ঘনিষ্ঠ । তখন যুব সভাপতি আমতা আমতা করে বলেন, না না । ঠিক নয় । পুলিশ সূত্রের খবর, ঐ সাংবাদিক যুব সভাপতি হুমকি খবর প্রকাশ করায় বিরাগ ভাজন । তবে যুব সভাপতি সাথে পেইড সাংবাদিক থাকেন বলে পুলিশ জানায় ।

কুলপি বিধায়ক দাবী করেন, সামনে ভোট আমার সাথে চল । তখন আবার অসম্ভব অস্বস্তি পড়ে যান । রাজনৈতিক মহল সূত্রে খবর, বিধায়ক হবার দৌড়ে রয়েছেন যুব সভাপতি, জেলা পরিষদের এক পদাধিকারীও এই দৌড়ে আছেন তবে তিনি অনেকটাই পিছিয়ে। তবে তারা যদি বিধায়ক প্রাথী হলে তীব্র বিরোধী হবে বলে বিধায়ক পরিষদ সূত্রে দাবী করা হয়েছে ।