অবতক খবর, সংবাদদাতা, কুচবিহার ::  তৃণমূলের সমস্ত দায়-দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন গত তেশরা অক্টোবর । আজ সরাসরি দলকে ত্যাগ করে বললেন কথা হচ্ছে ” বিড়ালের গলায় ঘণ্টা কে বাঁধবে আমি বিড়ালের গলায় ঘন্টা বেঁধে দিয়েছি”। তিনি অন্য কেউ নন তিনি তৃণমূলের বাগি বিধায়ক মিহির গোস্বামী।

কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা বিধায়ক গোস্বামী জানান দুর্নীতিতে ভরে গেছে প্রকাশ্যে বলতে অনেক লজ্জা পাচ্ছেন না তারা কতটা দুর্নীতির সঙ্গে ওতপ্রোত জড়িয়ে গেছেন যে তাদের বক্তব্য প্রকাশ্যে উঠে আসছে তাদের দুর্নীতির সাথে যুক্ত থাকার কথা।

দিনহাটার এক কর্মীসভায় বিধায়ক উদয়ন গ্রহের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন উদয়ন বাবু কর্মীসভায় বলেছেন ” অনেক খেয়েছেন, আবার খাবেন , এখন আগামী 6 মাস খাওয়া বন্ধ রাখুন, এখন মানুষের খাওয়া মানুষকে খেতে দিন”। তিনি বলেন এই কথার মানে কি? এই কথা কি কোন বিধায়ক পক্ষে বলা শোভা পায়? কর্মীদের এভাবে প্রকাশ্যে লুটেপুটে খাওয়ার কথা বলছেন ভাবুন তো কোন অবস্থায় গেছে দলটা।

এর পরেই মিহির মিহির বাবু এই তৃণমূলের সঙ্গ ত্যাগ করে দেন তিসরা অক্টোবর থেকে আজ পর্যন্ত তিনি প্রকাশ্যে দলের ভুল পথ নিয়ে মন্তব্য করে লাইম লাইট ছিলেন, তার পর তিনি চুপ করে বসে পড়েন। আজ আবার তিনি সাংবাদিক বৈঠক করেন জানিয়ে দেন, এই দলে তিনি আর থাকছেন না ত্যাগ করেছেন আর ভবিষ্যতেও আর কোনদিন এই দলে ফিরবে না।

মিহির ঘোষ মামিকে বোঝাতে অনেক তৃণমূলের নেতারা মন্ত্রীরা তার বাড়িতে যান কিন্তু তিনি কারো সাথে দেখা করেননি মন্ত্রীকে দরজার সামনে থেকেই বৈঠক না করেই ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। তা ছাড়াও তিনি পিকেকে ঠিকাদার think-tank বলেও আখ্যা দেন।

মিহির বাবু জানান ইতিমধ্যে বিজেপির তরফ থেকে তাঁকে দলে আহ্বান জানানো হয়েছে কিন্তু এখনও তিনি কোন দলে যাবেন কি যাবেন না সে ঠিক করেননি। পরবর্তীকালে ভাববেন । তবে এ কথা ঠিক তিনি তৃণমূল আর কোন দিন যাবেন না।

ইদানিং শুভেন্দু অধিকারীর বিতর্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান শুভেন্দু বাবুর বাবা শিশির অধিকারীর সঙ্গে তিনি 30 বছরের বেশি রাজনীতি করছেন তিনি তাকে বেশ ভালোভাবে চেনেন, ভালো বসেন।তিনি অত্যন্ত ভাল মানুষ। তিনি বলেন তবে ভালো মানুষের তৃণমূলে জায়গা নেই। তিনি বলেন শুভেন্দু অধিকারী যা করছে ঠিকই করছে । দল ছেড়ে অনেকে বেরিয়ে যেতে চাইছেন কিন্তু ভয় আছে কে বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাধবে, এখন তিনি নিজে ঘন্টা বেঁধে দিয়েছেন ।