অবতক খবর,১০ ফেব্রুয়ারী: আজ দলীয় কংগ্রেস কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে কাকু নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন আর এ নিয়ে কি হবে, চাকরির টাকা চুরি করেছে সেই টাকা কোথায় দিয়েছে কাকুর সাহেবকে এগুলো নতুন করে বলার কোন প্রয়োজন নেই। অধীর সাংবাদিক বৈঠক থেকে বলেন কাকুর সাহেব বাংলার খোকাবাবু এর মধ্যে নতুনত্বের কোন কোন কিছু নেই দুই দুই পাঠ করার প্রয়োজন নেই সবাই জানে দুই দুই চার।
আর এইসব নিয়ে চিৎকার করে কোন লাভ নেই। সিবিআই কোন কিছু করবে না এখন খালি খাতির দাড়ি চলছে তাই গল্প চালু হয়েছে আমরাও মজা পাচ্ছি। অধীর রঞ্জন চৌধুরী তিনি এই বাংলায় কার্যকলাপ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন কি হচ্ছে এই বাংলায় যে পার্টি অফিস আমরা মন্দির বলে মনে করি সেই পার্টি অফিসে ধর্ষণ হচ্ছে, অধীর বলেন মা মাটি মানুষের সরকার, মা মাটি মানুষের পাটি আপনার , নেই এবং গরিবের পার্টি বলে প্রচার করেন সেই পার্টি অফিসে আপনার পার্টির নেতা একজন মহিলাকে ধর্ষণ করছে। তার অপরাধ সে পূর্বে অন্য কোন দল করেছে এখন আপনার পার্টিতে আত্মসমর্পণ করছে। আজকে কিন্তু আপনার পার্টির প্রমাণ করে দিল আত্মসমর্পণ করলেও আপনার পার্টির লোক তাকে কিন্তু ছাড়বেনা ধর্ষণ করবেই। যে ঘটনা ঘটলো এই বাংলায় মুচলেকা দিতে গিয়ে পার্টি অফিসে ধর্ষণ হতে হলো সেই মহিলাকে।
অধীর রঞ্জন চৌধুরী তিনি আজ এই সাংবাদিক বৈঠক থেকে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে বলেন যে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে যে ঢোল বাজানো হল, তার দলের এমপি তিনি আবার এই ঘোষণা শুনে কত না প্রশংসা কত সংবর্ধনা দিলেন। এখন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে কত প্রশ্ন আসছে অধীর বলেন আমার বক্তব্য প্ল্যানটা বানানোর আগে জমির সমস্যার সমাধান কেন করা হয়নি? এবার কি বলবেন আমি তো টাকা দিয়েছিলাম ঘাটাল প্লান্ট তো হবার মুখেই ছিল জমির জন্যই ফেঁসে গেলাম।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এইভাবে পশ্চিমবঙ্গের রেল দিয়েছেন কিন্তুচালু করেন নি, রেলের কারখানা রেলের লাইন সব খাতা-কলমে দিয়েছেন কিন্তু চালু করেননি তার ক্ষেত্রে তিনি কি বলেছিলেন জমি জট আর এবার ঘাটার প্ল্যান নিয়ে তিনি কি বললেন সেই একই কথা জমি জট, তাই আমাদের প্রশ্ন জমির জট না কাটিয়ে কি করে আপনি প্লান পাস করলেন দিদি! কলকাতার শহরে পলিউশন মাপার জন্য কোনরকম ব্যবস্থা নাই।
এই প্রশ্নের উত্তরে অধীর বলেন ভারতবর্ষে যতগুলো দূষিত শহর আসে তার মধ্যে সর্বপ্রথম নাম হচ্ছে কলকাতা, তুমি পাশাপাশি এ কথাও বলেন যে আমি এ কথা বলছি না যে কলকাতা বাদে অন্যান্য শহরের মানুষ আরামে থাকেন সেখানে দূষণ নাই সে কথা আমি বলছি না তিনি বলেন কলকাতায় চালাকিটা কি?
তিনি তার ব্যাখ্যা করেন তিনি বলেন কলকাতায় চালাকিটা করা হয়, এখানে কোন দূষণ মাপার ব্যবস্থা নাই, তিনি বলেন আপনি অন্যান্য বড় বড় শহরে যান দেখতে পাবেন সেখানে দূষণের পরিমাণ আপনি দেখতে পাবেন, সেখানে যেমন ঘড়ির টাইম রেলের টাইম দেখা যায় সেরকম দূষণের পরিমাণও আপনি দেখতে পাবেন। তিনি বলেন এই পশ্চিমবঙ্গে যেখানে সবকিছুই ধামাচাপা এখানে মানুষের কাছে কোন কিছু প্রকাশ হয় না, টিভি এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন আপনারা বলুন তো কলকাতায় যে পরিমানে দূষণ হচ্ছে তার পরিমাণ এলাকা অনুযায়ী মানুষকে জানতে পারে পারেনা মানুষকে ধোঁকা দেয়া হয় । এ বিষয়ে তিনি বলেন কলকাতায় আজকে ফুসফুসের ক্যান্সারের রূপান্তরিত হচ্ছে।