আজ একটু রাস্তায় বেরুলাম। দেখে ফিরে এটা মনে এলো…
দশকর্মা ভাণ্ডার
তমাল সাহা
তুমি যদি ফুটপাতে
সবজিঅলির পাশে বসো দেখতে পাবে
সবুজ আনাজপাতি।
তুমি যদি মেছুরের সঙ্গে বন্ধুতা করো
তবে বেচাকেনা শেষে সে তোমাকে
শুঁড়িখানায় নিয়ে যেতে পারে।
তুমি যদি হাড়কাটা গলিতে যাও
বেশ্যাদের রঙিন চোখ মুখের সাথে ব্রায়ের স্ট্রাইপ, বুকের উপত্যকাও কিছুটা দেখতে পারো।
তুমি যদি শ্মশানে যাও
তান্ত্রিকের কাছে পাবে গাঁজার কল্কে
রে জীবন! বলে ছিলিমে টান মেরে শ্বাস বন্ধ করে উড়িয়ে দিতে পারো একরাশ ধোঁয়া।
তবে তুমি নেতার কাছে যেওনা
মাটি মানুষের দোহাই দিয়ে তোমাকে তোলাবাজির পথে নামিয়ে দেবে।
তুমি কবিতা নিয়েও কারুর কাছে যেও না
কেউ আঁতেল, কেউবা রাষ্ট্রদ্রোহী
বলে দাগিয়ে দেবে।
তার চেয়ে দশকর্ম ভান্ডারের মালিকের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলো
জীবন থেকে মৃত্যুর সব অনুষঙ্গ পাবে তুমি সেখানে।
তুমি কখনো যাবে না
শ্মশান চণ্ডাল ডোমের কাছে।
সে আগেভাগে বলে দেবে সব
কিভাবে চিতাকাঠের আয়োজন
দহনকার্য চলে,এসব জেনে গেলে
অন্তিম জ্বলনের সুখ তুমি পাবে না কোনোকালে!