অবতক খবর,১২ এপ্রিল: বীজপুরের প্রাক্তন বিধায়ক তথা বর্তমানে কাঁচরাপাড়া পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান শুভ্রাংশু রায়কে তিনটি পঞ্চায়েতের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁর জন্ম-কর্ম, তাঁর নেতা হওয়া,সবটাই বীজপুরে। কিন্তু তাঁকে দায়িত্ব দিয়ে দেওয়া হল নৈহাটি গ্ৰামীণের। তিনি কিছুদিন আগেই বলেছিলেন পুরনো চাল ভাতে বাড়ে,ঠিক সেইরকমই তিনি পুরনো কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেছেন।
তবে এটা সকলেই জানেন যে,পার্থ ভৌমিক আজ পার্থ ভৌমিক হয়েছেন মুকুল রায়ের জন্য। তবে এই পার্থ ভৌমিক যখন একটি সুপরিচিত মিডিয়ার সামনে তাঁর বক্তব্য পেশ করেছিলেন তখন তিনি একবারও মুকুল রায়ের নাম করেননি। অথচ শুভ্রাংশু রায় আমাদের অবতক খবরে পরিষ্কার বলে দিয়েছিলেন পার্থ ভৌমিকের উত্থানের কথা।
এদিকে পার্থ ভৌমিক ওই মিডিয়া হাউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই কথা স্বীকার না করলেও বর্তমানে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অর্জুন সিং কিন্তু এটা বলেছেন যে,মুকুল রায়ের জন্যই আজ পার্থ ভৌমিক এই জায়গায়। তিনি বলেছেন, মুকুল রায় টিকিট না দিলে পার্থ ভৌমিক বিধায়কও হতেন না এবং আজ এই জায়গাতেও থাকতেন না।
যাই হোক,এটা তো পুরনো কথা। কিন্তু বর্তমানে মন্ত্রী তথা ব্যারাকপুর লোকসভার তৃণমূলের প্রার্থী পার্থ ভৌমিক, তিনি এখন শুভ্রাংশুর জন্য কিছু করেছেন। মোদ্দা কথা,কেউ কিছু না করলেও তিনি করেছেন।
শুভ্রাংশু দায়িত্বপ্রাপ্ত পঞ্চায়েত গুলিতে যাচ্ছেন এবং প্রচার করছেন পার্থ ভৌমিকের হয়ে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, তাঁর জন্মভূমি বীজপুর তথা নিজের ওয়ার্ডেই তিনি এখন গুরুত্বহীন। এখানকার কোন মিটিং মিছিলে তিনি নাকি নাক গলাতে পারছেন না। এদিকে তাঁর ৬ নং ওয়ার্ডেই মিটিং করছেন বর্তমান চেয়ারম্যান কমল অধিকারী। যদিও তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে হাজিনগরের, কিন্তু তাঁকে বেশিরভাগ দেখা যাচ্ছে ঘটক রোডেই।
আর ঠিক এখানেই অসন্তুষ্ট শুভ্রাংশুর অনুগামীরা। তারা বলছেন,’এখানে শুভ্রাংশু থাকলেই বেশি ভালো হতো। যাকগে, সেসব তাদের দলের ব্যাপার।’
অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন,’শুভ্রাংশুর এত খারাপ দিন এলো যে, তিনি পুরনো কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করলেন,সেই গুরুত্ব অর্জুন সিং বুঝলেন,অথচ পার্থ ভৌমিক তাঁর গুরুত্ব বুঝলেন না! তাঁকে তাঁরই এলাকা থেকে বাদ দিয়ে দিলেন! অদ্ভুত ব্যাপার! এই হলো রাজনীতি। এখন নির্বাচন বলে শুভ্রাংশুকে দায়িত্ব তো দেওয়া হল, কিন্তু সুদূর নৈহাটি গ্ৰামীণে। নিজের ওয়ার্ডেই বাদ পড়লেন তিনি।’