সর্বহারাদের পাশে এসে দাঁড়ালো স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা

অবতক খবর::অনুপ কুমার মন্ডল::নদীয়া:: নদিয়া চাকদহে সকলের তরে সকলে আমরা সদস্যদের উদ্যোগে মাতৃ মন্দির এলাকায় সকাল থেকেই চলল দুস্থ মানুষদের জন্য খাওয়া দাওয়া। যারা দিন আনা দিন খাওয়া, এক মুঠো অন্ন খাবারের জন্য সকাল থেকে ঝুলি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায়।

দুঃস্থ মানুষকে শুধু খাওয়ানো নয় তাদের শীতবস্ত্র এবং শাড়ি, ধুতি ,লুঙ্গি দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ালো সকলের তরে সকলে আমরা সদস্যরা,যা মানুষকে চোখে আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দিলো যে ইচ্ছে থাকলেও মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায় ,আর সেই ইচ্ছে পূরণ করা যায়।

তাই সকলের তরে সকলে আমরা উদ্যোক্তাদের সাধুবাদ জানাচ্ছেন কল্যাণীর বিডিও সোমনাথ দে এই অনুষ্ঠানে এসে তিনি বলেন আমার খুব ভালো লাগছে এনাদের এরকম কাজ দেখে। প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই এরকম একটা ভালো কাজ করার জন্য। মানুষের কথা ভাবার জন্য। সমাজসেবক মূলক অনুষ্ঠান আমি নিজেও করতে ভালোবাসি।উদ্যোক্তাদের আমি এটাও বললছি আমাদের প্রত্যেকের ঘরে যে সমস্ত জিনিসপত্র থাকে আমরা যেটা ব্যবহার করি না অন্তত গরিব মানুষদের কথা ভেবে একটা কন্যার খুলে দেওয়া হোক যেখানে মানুষ জিনিসগুলো রাখবেন এবং গরীব মানুষেরা এসে তাদের প্রয়োজন জিনিসটা সেখান থেকে নিয়ে যাবে। আর যখনই আমাকে এনারা ডাকবেন তখনই আমি আসবো ।আমার তরফ থেকে যদি কোন সাহায্য করার হয় আমি নিশ্চয়ই করব এনাদের পাশে আমি সর্বদাই রয়েছি। এই সংগঠনের আরেক সদস্য তাপস কুমার পাল বলেন আমরা হঠাৎ কয়েকজন বন্ধুরা একদিন বসে চিন্তা ধারা নিলাম যদি দুস্থ মানুষকে খাওয়াতে পারি সকলের উদ্যোগ নিয়ে তবে কেমন হয় ।তখন আমরা 12 জন মিলে এই মহাযজ্ঞ শুরু করি। আজ তা দেখতে দেখতে সাত মাসের পদার্পণ করেছে।আজ যেমন আমাদের সদস্য সংখ্যা বেড়েছে তেমনি এখানে যারা খেতে আসে তাদের সংখ্যাও বেড়েছে। ভালো লাগে এরকম ধরনের কাজ করতে।আমরা যাতে আরো মানুষের কাছে মানুষের হৃদয়ের মধ্যে পৌঁছাতে পারি তারই চেষ্টা করে যাচ্ছি এই কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে।অন্যদিকে এই সংগঠনের সদস্য লক্ষণ ঘোষ বলেন। আমরা এই অনুষ্ঠানটা ৭ মাস আগের থেকে শুরু করে ছিলাম।আস্তে আস্তে এলাকার মানুষ গরিব মানুষ যারা দুমুঠো খেতে পারে না অন্তত এনাদের মুখের দিকে তাকিয়ে এই কাজ শুরু করেছিলাম । মানুষকে একদিনের আহারের জন্য আমরা কয়েকজন মিলে নিজেদের উপায় থেকে কিছু অংশ টাকা দিয়ে শুরু করি এই সেবামূলক কাজ ।প্রথমে 350 মানুষকে খাইয়েছি আজ 7 মাসে 1200 জনে দাঁড়িয়েছে।লোক যেমন বেড়েছে তেমনি আমাদের সদস্য বেড়েছে আগে ছিল 12 জন এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে 20 জনে।আজ শুধু এখানে নদীয়া থেকে খেতে আসে না 24 পরগনা বিভিন্ন জায়গা থেকেও কিছু গরিব মানুষেরা খেতে আসেন যা নজিরবিহীন। আমরা অন্তত দুমুঠো অন্ন তুলে দিয়ে সীমাবদ্ধ থাকি না আমরা গরিব মানুষদের কম্বল, ধুতি, লুঙ্গি , শাড়ি দিও আমরা মানুষের পাশে থেকে কাজ করে থাকি যাতে মানুষ একটু শান্তিতে থাকে। একটু ভালো থাকে।