অবতক খবর , সংবাদদাতা :পূর্ব বর্ধমান:- দুইপাড়ার কবর দেওয়ার জায়গা ছিল না। মুসকিল আসানে এগিয়ে এলেন এক ব্রাহ্মণ
পরিবার। গ্রামের মুখোপাধ্যায় পরিবারের দেওয়া ১ একর ৬ শতক জায়গায় চলছে কবর দেওয়ার কাজ। সম্প্রতির অন্য নিদর্শন বর্ধমানের তালিতে।
বর্ধমান ১ ব্লকের তালিতে হিন্দু মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের বাস। গ্রামের পূর্ব ও দক্ষিণ পাড়ার কবর দেওয়ার জায়গা ছিলনা।করব দিতে যেতে হত অনেক দূরে।দুইপাড়ার মাঝে সাধুপুকুরের পাশেই বেশকিছুটা জমি ছিল গ্রামের ডাঙ্গাপাড়ার বাসিন্দা কালীকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়ের। সমস্যা সমাধানে তিনিই ফরিস্তা হয়ে হাজির হন। দান করে।দেন গ্রাম ১ একর ৬ শতক জমি। বেশকয়েক বছর আগে তিনি এই দান করলেও সম্প্রতি এই জায়গা নথিভুক্ত হয়েছে কবর খানা হিসাবে। জমির অন্যান্য নথি (পড়চা) বের হয়েছে। কবর স্থান প্রবেশের মুখে দিনপাঁচেক আগে নামাজ পরার বাঁধানো জায়গাও নির্মান হয়েছে।
৮৮ বছরের অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মচারী কালীকৃষ্ণবাবু বলেন,তালিতগ্রামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বহুদিন থেকেই অটুট। কবরের জমি নিয়ে সমস্যার কথা আমাকে জানায় সেখ সরিফুদ্দিন, সেখ সাবেদ আলিরা। তাই ওই জমি আমি দান করে দিলাম। আমার জায়গায় গ্রামের মানুষের শেষকৃত্য হচ্ছে এটা ভেবে আনন্দ হয়। এটাই আমাদের ঐতিহ্য। তিনি আরও বলেন, এই জায়গা দেওয়ার পর ওরা আমাকে ভীষণ সম্মান করে। আমাকে ওরা মিষ্টি দিতে এসেছিল। কিন্তু আমি মিষ্টি গ্রহণ করিনি।কারণ,আমরা সকলেই একটা পরিবার। এটা আমি কর্তব্য বলে মনে করি। তাই মিষ্টি দেওয়ার কিছু নেই। শুধু কবর স্থান নয়। কালীকৃষ্ণবাবু পূর্ব ও দক্ষিণ পাড়ার মাঝে একটি রাস্তা করার জন্যও জমি দিয়েছেন। নিজেদের দুটি পুকুরের মাঝে কিছুটা জায়গা দিয়ে তিনি রাস্তা তৈরির অনুমতি দিয়েছেন। ফলে তাঁর পুকুরের কিছুটা অংশ চাপা দিতেও হয়।এই রাস্তার ফলে দুই পাড়ার যাতায়াত সুবিধা হয়েছে। কালীকৃষ্ণবাবুর নাতি সাহেব মুখোপাধ্যায় বলেন, এলাকায় হিন্দু মুসলিমে কোন ভেদাভেদ নেই। আমরা কবর দেওয়া জন্য জায়গা দিয়েছি আর প্রতিবছর আমাদের উঠানে মহরমের ঢাল যায়। বর্তমান ধর্মীয় অস্থিরতার সময় আমাদের গ্রাম দৃষ্টান্ত হতে পারে।জায়গা পেয়ে খুশি মুসলিম অধ্যুষিত পাড়ার মানুষজন। কবর ও স্থানীয় মসজিদের পদাধিকারি সেখ সরিফউদ্দিন বলেন, এখন কিছুটা জায়গা রেজিস্ট্রি হতে বাকি আছে। কিন্ত আমারা জায়গা ব্যবহার করছি। তবুও বারবার কালীকৃষ্ণবাবু আমাদের বারবার বলছেন, জায়গার কাগজ করে নিতে। মরে গেলে সমস্যা হবে। এর থেকেই বোঝা যায় , তিনি কত উদার মনের।
ধর্মীয় অস্থিরতার সময় আমাদের গ্রাম দৃষ্টান্ত হতে পারে।জায়গা পেয়ে খুশি মুসলিম অধ্যুষিত পাড়ার মানুষজন। কবর ও স্থানীয় মসজিদের পদাধিকারি সেখ
সরিফউদ্দিন বলেন, এখন কিছুটা জায়গা রেজিস্ট্রি হতে বাকি আছে। কিন্ত আমারা জায়গা ব্যবহার করছি। তবুও কালীকৃষ্ণবাবু আমাদের বারবার বলছেন, জায়গার কাগজ করে নিতে। মরে গেলে সমস্যা হবে। এরথেকেই বোঝা যায় তিনি কত উদার মনের মানুষ।