অবতক খবর,২৯ অক্টোবর: উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া ব্লকের সোনাপুর পঞ্চায়েত এরিয়ার লালু গছের সোলেমানের চার ছেলেমেয়ের মধ্যে বড় ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী জন্মের দু-তিন বছর পর থেকেই সে ধীরে প্রতিবন্ধী হয়ে পরে কথাও ঠিক করে বলতে পারে না। ৪জন ছেলে মেয়ের মধ্যে বড়ো ছেলে প্রতিবন্ধী তার পর মেয়ে রয়েছে বিয়ের উপযুক্ত। মেয়ের পর রয়েছে এক ছেলে সেও প্রতিবন্ধী তাদের পরিবারে রয়েছে ছোট্ট একটি মেয়েও। দিনে কাজ করলে জোটে দু’মুঠো খাবার আর কাজ না করলে বাড়ির উনুন বন্ধ হয়ে যায় সোলেমানের তার ওপরে দুই প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে বেজায় বিপদে পড়ে রয়েছে সোলেমান।
সোলেমান ও তার স্ত্রী সকালে বেরিয়ে পরে দুমুঠো খাবার জোগাড়ের জন্য লোকের কাজ করতে। মাঠে কাজ করতে গেলে চিন্তা থাকে বাড়িতে দুই প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে। ছেলেদেরকে বাড়িতে রেখে গেলে তারা এবাড়ি থেকে ওবাড়ি গেলে পাড়ার লোক পাগল বলে গালিগালাজ করে তারিয়ে দেয়। কষ্ট যেন সীমানা ছাড়িয়েছে সোলেমানের। কাজ না করলে খাবার জোটে না আবার বাড়ি থেকে কাজে বেরোলে ছেলেদের চিন্তা যেন কুরিয়ে খায় সোলেমানকে। কাজ করতে যাওয়ার সময় ছেলেদেরকে গাছের সাথে কোমরে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখে যেতে হয়। লোকের কথা শোনার ভয়ে বাড়িতে দরি দিয়ে বাঁধা থাকে সারাদিন, যেখানেই খায় সেখানেই বাথরুম করে ফেলে তবুও বুঝতে পারেনা ছেলেরা। এখনো জামা কাপর পরিয়ে দিতে হয়, খাইয়ে দিতে হয়, স্নান করিয়ে দিতে হয়। এতো বড়ো ছেলেরা প্রতিবন্ধী হয়েও মিলছে না প্রতিবন্ধীর সংশাপত্র মিলছে না, সরকারি কোন সাহায্যও মিলছে না।
সোলেমান অভিযোগ তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যকে এই ব্যাপারে জানানো হলে তিনি বলেন ২০ বছর না হলে প্রতিবন্ধী সংশাপত্র হয়না এবং সোলেমানকে বলা হয় তার গ্রামের মানুষের কাছ থেকে আগে অনুমতি নিয়ে আসতে হবে তারপরেই সংশাপত্র দেওয়া হবে। এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য যদিও সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন।