অবতক খবর,১৭ জুলাই: ‘মহররম’ শব্দের অর্থ সম্মানিত। ইসলামের ইতিহাসে এই মাসের সঙ্গে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। এসব স্মৃতির সম্মানার্থে এই মাসকে মহররম বা সম্মানিত বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। কোরআন কারিমে রয়েছে, ‘আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকেই আল্লাহর কাছে মাসের সংখ্যা ১২, এর মধ্যে ৪টি মাস সম্মানিত’। হাদিসে মহররমকে ‘শাহরুল্লাহ’ বা ‘আল্লাহর মাস’ বলা হয়েছে ।

মহানবী এর হিজরতের বছরকে প্রথম বছর ধরে হজরত উমর এর খিলাফতকালে ইসলামি সন গণনার সূচনা হয়। হিজরি সনের সঙ্গে মুসলিম উম্মাহ তাহজিব তামাদ্দুন ও ঐতিহ্যগতভাবে সম্পৃক্ত। মুসলমানদের ধর্মীয় বিধিবিধান ও ইবাদত–বন্দেগি চান্দ্র তারিখের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই আরবি তারিখ চর্চায় রাখার জন্য হিজরি নববর্ষ উদ্‌যাপন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

হিজরি নববর্ষ উদ্‌যাপন প্রিয় নবীজি –এর হিজরতের বিরহ–বিচ্ছেদ যন্ত্রণাকে স্মরণ করিয়ে দেয়, নবীপ্রেমে উজ্জীবিত করে। আল্লাহ তাআলা এই দিনে আদম কে সৃষ্টি করেছেন। এই দিনে নুহ এর প্লাবন সমাপ্ত হয়। এদিন ইব্রাহিম জালিম বাদশাহ নমরুদের অগ্নিকুণ্ড থেকে ৪০ দিন পর নিরাপদে মুক্তি পান। এদিন ইউনুস মাছের পেট থেকে মুক্তি পান। এই দিনে আইয়ুব রোগমুক্তি লাভ করেন। এই দিনে সুলায়মান তাঁর হারানো রাজত্ব ফিরে পান।

এই দিনে ইয়াকুব হারানো পুত্র ইউসুফ কে ৪০ বছর পর ফিরে পান। এই দিনে ঈসা জন্মগ্রহণ করেন এবং এদিনেই তাঁকে দুনিয়া থেকে আকাশে উঠিয়ে নেওয়া হয়। আশুরার দিনে আরও বহু ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটেছিল।তথাকথিত শিক্ষিত ও ধর্মপ্রাণ মুসলিমগণ নামাজ পাঠ, কোরান পাঠ, দরিদ্র অসহায়দের দান দক্ষিণার মধ্যে দিয়ে নীরব শ্রদ্ধা পালন করে থাকেন। অন্যরা এদিন তাজিয়া বের করে থাকেন।এটি প্রতিটি জায়গার পাশাপাশি দুবরাজপুরেও দেখা গেলো ।

সেখানে দেখা যায় সকল মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষেরা একত্রিত হয়ে একটি পদযাত্রার মধ্যে দিয়েই কর্মসূচিটি শেষ করে। এদিন দুবরাজপুরে দেখা যায় মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষদের দেখা মিলেছিল চোখে পড়ার মতো।