অবতক খবর,২৩ ডিসেম্বর: দিন দিন বাড়ছে পুকুর মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য। কোন অঞ্চলের কোন পুকুরই ছাড়ছে না তারা। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের নতুন কর্মসূচি চলছে ‘দুয়ারে সরকার’ তৃণমূলের সৈনিকরা পৌঁছে যাচ্ছেন মানুষের দুয়ারে দুয়ারে। কিন্তু যেই না সরকার দুয়ার থেকে সরে আসছে,তারপর দুয়ারের পেছন দিকে যে কি চলছে তা সরকারের আর চোখে পড়ছে না।

জেঠিয়া গ্ৰাম পঞ্চায়েতে সরকারের তরফে যে বাবুরা দায়িত্বে রয়েছেন তারা দিদির বিভিন্ন কর্মসূচি প্রচারের জন্য পৌঁছচ্ছেন মানুষের দুয়ারে দুয়ারে। কিন্তু নিজেরদের দলীয় কার্যালয়ের দুয়ারে অর্থাৎ পঞ্চায়েত অফিস সংলগ্ন একটি পুকুর ভরাট হয়ে যাচ্ছে তা দেখতে পাচ্ছেন না তারা। হবে নাই বা কেন! কারণ কে কত পুকুর ভরাট করছে তার‌ তো কোন হিসেব নেই।

জন্ম থেকে ‌মৃত্যু পর্যন্ত যে যে প্রকল্পগুলো রয়েছে তার সমস্তই প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু কটা পুকুর ভরাট হয়েছে তার হিসেব কেউ দিচ্ছেন না। নৈহাটি বিধানসভার অন্তর্ভুক্ত জেঠিয়া পঞ্চায়েত অফিসের সামনে একটা এত বড় পুকুর ভরাট হয়ে যাচ্ছে সেদিকে হুঁশ নেই পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের।‌ স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন যে,এই পুকুর ভরাটের পেছনে রয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্য ও কিছু তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।‌

এই বিষয়টি নিয়ে যখন আমরা পঞ্চায়েত প্রধান শিয়াঙ্কা ঘোষের সঙ্গে কথা বলি,তখন তিনি বলেন,”ভাই বিশ্বাস করো,আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। তবে আমি বিষয়টি দেখছি।”
শিয়াঙ্কা ম্যাডামকে যখন আমরা অবগত করি যে,গত বছর পিন্টু কুশারি নামে এক পুকুর মাফিয়া পুকুর ভরাট করে বিক্রি করে দিল, তখন অবতক-এ সেই খবর সম্প্রচারিত করার পর আপনারা আমাদের চোখ রাঙান। কিন্তু ঘটনাস্থলে আমাদের প্রতিনিধির সঙ্গে গিয়ে যখন পরিস্থিতি দেখেন তখন সেই পুকুর পুনরুদ্ধার হয় কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সেই পুকুর ভরাট হয়ে বিক্রিও হয়ে গেল।

এই শুনে শিয়াঙ্কা ঘোষ বলেন,”বিষয়টি গিয়ে নৈহাটি পার্থ ভৌমিককে জানান।” অন্যদিকে এই ঘটনা পার্থ বাবুকে জানালে তিনি বলেন,”শিয়াঙ্কার কাছে যান।” আর ঠিক এই সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে পুকুর মাফিয়ারা পুকুর ভরাট করে ৫-৬ লক্ষ টাকা করে‌ জমি বিক্রি করে কামাই শুরু করেছে।