অবতক খবর,১৪ মার্চ,দুর্গাপুর: দুর্গাপুরের নিউটাউনশীপ থানার অধীন জেমুয়া ভাদুবালা বিদ্যাপীঠের নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীর বিয়ে হচ্ছিলো দুর্গাপুরের লাউদোহা থানার অধীন প্রতাপপুরের এক যুবকের সাথে।জেমুয়া গ্রামের ডাঙ্গাপাড়াতে সোমবার প্যান্ডেল করে বিয়ের যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ হয়ে গিয়েছিল, ঘরে চলে এসেছিল নাবালিকার আত্মীয় স্বজনরাও, ছিল ভুঁড়ি ভোজের ব্যাপক আয়োজন।কিন্তু বাদ সাদলো প্রশাসন।

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে লাউদোহা ব্লকের যুগ্ম বিডিও প্রসেনজিৎ সামন্তর নেতৃত্বে চাইল্ড লাইন ও নিউটাউনশীপ থানার পুলিশ একযোগে পৌঁছে যায় নবম শ্রেণীর ঐ ছাত্রীর বিয়ের আয়োজনের আসরে, ডেকে পাঠানো হয় ঐ নাবালিকা, তার বাবা মা কে, দেখতে চাওয়া হয় নাবালিকার বয়সের প্রমান পত্র ও আঁধার কার্ড। সব কিছু দেখার পর শেষ পর্যন্ত ঐ নাবালিকা ও তার পরিবারকে জেরা শুরু করেন লাউদোহার যুগ্ম বিডিও প্রসেনজিৎ সামন্ত ও চাইল্ড লাইনের সদস্যরা, তখনি তারা স্বীকার করে নেন নাবালিকার বিয়ে দেওয়ার ঘটনা। অবিলম্বে বিয়ে বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে।

এরপর শুরু হয় আরো এক প্রস্থ নাটক। যখন প্রশাসনিক আধিকারিকরা ঐ নাবালিকাকে হোমে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাকে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তখন মেয়েকে ছাড়তে রাজী হয়নি তার বাবা মা আত্মীয় স্বজনরা, শেষে কড়া মনোভাব নেয় প্রশাসন, যদি সরকারী কাজে তাদেরকে বাঁধা দেওয়া হয় তাহলে আইনমাফিক পাল্টা ব্যবস্থা তারা নেবেন বলে সাফ জানিয়ে দেন লাউদোহা ব্লকের যুগ্ম বিডিও প্রসেনজিৎ সামন্ত। শেষ পর্যন্ত ঐ নাবালিকার সাথে তার বাবা মা কেও নিউটাউনশীপ থানায় নিয়ে যায় প্রশাসন। নাবালিকার বিয়ে দিয়ে অন্যায় করছিলেন স্বীকার করে নেন নাবালিকার বাবা। পরিবার অত্যন্ত গরিব তাই বাধ্য হয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসছিলো বলে জানান ঐ নাবালিকা।

এই ঘটনাকে ঘিরে সোমবার সাতসকালে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দুর্গাপুরের জেমুয়া গ্রামে।