অবতক খবর,১৭ জুন: গোবরডাঙ্গা এলাকার দেবী চক্রবর্তীর সাথে সোদপুর এইচবি টাউন এর বাসিন্দা সজল চক্রবর্তীর ২০১৫ সালে বিয়ে হয়। গত দু’বছর আগে ব্যবসার কাজে বারাসাত থেকে বাড়ি ফেরার পথে বাইক দুর্ঘটনায় সজল চক্রবর্তীর মৃত্যু হয়।
তারপর থেকে দেবী চক্রবর্তী তার কন্যা সন্তানকে নিয়ে পানিহাটি পৌরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ড এইচবি টাউন এলাকায় বসবাস করতেন। মৃত্যুর পর স্বামীর সম্পত্তি স্ত্রী দেবী চক্রবর্তীর নামে হয়ে যায়।দেবী চক্রবর্তীর বাড়ির সামনে দুটি দোকান ঘর আছে।
সেই দোকান ঘর গুলো দেবী চক্রবর্তীর ভাসুর সুজয় চক্রবর্তী জোর করে দখল করে রেখেছে এমনটাই অভিযোগ এবং ভাসুর সুজয় চক্রবর্তীর কাছে তার ভাইয়ের স্ত্রী দোকানগুলো দখলমুক্ত করার কথা বললে তাকে ভাসুর সুজয় চক্রবর্তী হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি দেবী চক্রবর্তীকে তার ভাসুর হুমকি দিয়ে ঘরবন্দি করে রেখেছে বলে অভিযোগ। সুজয় চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ঘোলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে দেবী চক্রবর্তী। এ বিষয়ে যার দিকে অভিযোগের আঙুল অর্থাৎ ভাসুর সুজয় চক্রবর্তীর কাছে গিয়ে বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন সবটাই থানা পুলিশ বুঝে নেবে। আমার কিছু বলার নেই।এই বলে বাড়ির দরজা বন্ধ করে দেয়।
কিন্তু প্রশ্ন এখানেই যেখানে দেবী চক্রবর্তীর সম্পত্তির অংশের মধ্যে সেই দোকানগুলো সেগুলো কি করে জোর খাটিয়ে জবরদখল করে হুমকি দিয়ে দখল করে রাখতে পারে সুজয় বাবু? এ বিষয়ে ওয়ার্ড সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা শিবনারায়ণ রায় জানান,এলাকায় অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। এরকম ধরনের ঘটনা যদি প্রমাণ হয় তাহলে প্রশাসন কঠোর হাতে তার মোকাবেলা করবে।
আর আতঙ্কিত দেবী চক্রবর্তীর একটাই আবেদন তার সেই দোকান গুলো যেন ভাসুরের হাত থেকে দখলমুক্ত করে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।তার একমাত্র উপার্জনকারী স্বামীর মৃত্যুর পরে সেই দোকানে কিছু ব্যবসা করে উপার্জন করে তার মেয়ের ভবিষ্যৎ করতে পারে। এখন দেখার প্রশাসন কত তাড়াতাড়ি দেবী চক্রবর্তীকে তার ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দেয়!!!