অবতক খবর,১২ সেপ্টেম্বর,পশ্চিম মেদিনীপুর: পূজোর আগে পরিবহনে বড় ধাক্কা! ট্রাক ধর্মঘটে পশ্চিম মেদিনীপুর ডিস্ট্রিক্ট ট্রাক অপারেটরস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। তারা সাতটি দফা দাবিকে সামনে রেখে এই ধর্মঘটে সামিল হয়েছে।মূলত পশ্চিমবাংলা জুড়ে ওভারলোড বন্ধ করা, পরিবহনের ক্ষেত্রে পুলিশ, ডাক পার্টি সিভিকদের অত্যাচার বন্ধ, যত্রতত্র অনলাইন কেস দেওয়া বন্ধ, রাতের অন্ধকারে টাকা নিয়ে ওভার লোডিং গাড়ি পাস করানো চলবে না।
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ট্রাক ড্রাইভারদের উপর বাংলাদেশের লোকেদের অত্যাচার বন্ধ সহ মোট সাত দফা দাবি তারা তুলে ধরেন। এরই সঙ্গে তারা মেদিনীপুর শহরের মোহনপুর ব্রিজে গাড়ি যাতায়াতের জন্য ব্যবস্থা অথবা নিচ দিয়ে অল্টারনেট ব্যবস্থারও দাবি করেন। তারা এর আগে এক প্রস্থ জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে লিখিত স্মারকলিপিও জমা দেন।কিন্তু তাতে চিঁড়ে ভেজেনি।এই দাবি সম্বলিত বিষয় নিয়েই এইদিন ধর্মঘটে সামিল হয়।
এই ৭২ ঘন্টার ট্রাক ধর্মঘটের ডাকে এদিন গড়বেতা চন্দ্রকোনায় হাজার হাজার ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকে লাইন দিয়ে। বেশিরভাগ ট্রাকগুলি ছিল নিত্য প্রয়োজনীয় সরবরাহকারী।অন্যদিকে কেশিয়াড়ি, মোহনপুর, বেলদা, পিংলা, সবং, কেশপুর, দাসপুর, ঘাটাল সহ শালবনি এলাকায় ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকে শয়ে শয়ে। সংগঠনের দাবি গোটা জেলা জুড়ে তাদের প্রায় চার হাজার সদস্য রয়েছেন এবং ট্রাক রয়েছে প্রায় দশ হাজার। এদিন সকাল থেকে সব ট্রাকই বন্ধ রয়েছে।পালন করছে ধর্মঘট।
অন্যদিকে এই ট্রাক ধর্মঘটে জেরে সমস্যায় আমজনতা! মাছ মাংস শাকসবজি তো বটেই এছাড়াও জরুরী প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহে পড়েছে ঘাটতি। কিন্তু এই ধর্মঘটে জেরে অমিল হবে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাবেচা, সেই সঙ্গে দাম বাড়বে এই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের যার ফলে সমস্যায় পড়বে আমজনতা। সংগঠনের দাবি আজ থেকে শুরু হলো আমাদের ধর্মঘট যতক্ষণ না রাজ্য থেকে কোন সদউত্তর পাবো ততদিন চলবে আমাদের এই ধর্মঘট প্রক্রিয়া।