দুর্গাপুজোর চার দিনে তিনটি ধর্ষণ। তারমধ্যে রয়েছে দলিত নারী। এই ধর্ষণ ঘটেছে বর্ধমানে বীরভূমে এবং একটি ধর্ষণ ঘটেছে লক্ষ্মীপুজোর রাতে বনগাঁয়।
ধর্ষণ কাব্য
তমাল সাহা
এক)
ইয়া দেবি! সর্বভূতেষু নারীশক্তি রূপেন সংস্থিতা… মণ্ডপে মণ্ডপে পুরোহিত।
ঢাকের তালে চলছে মন্ত্র উচ্চারণ
এদিকে বর্ধমান, বীরভূমে বাজছে বলির বাজনা
চলছে অজয় নদীর পারে, ইটভাটায় গণধর্ষণ।
পুজোর চার দিনে ধর্ষিতা তিনজন
অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে মা মন্ডপে তখন।
হাথরসে তুমি সরব
সেটাই বুঝি শুধু ধর্ষণ?
গাঙ্গেয় উপত্যকায় তুমি নীরব–
এটা পললভূমি উন্নত কৃষিক্ষেত্র
জমি কর্ষণ?
দুই)
মামাবাড়ির দোরগোড়া থেকে তুলে নিল ওরা
রাত্তিরে কোজাগরী চাঁদ ছিল পাহারা।
আমবাগানে নিয়ে গেল লক্ষ্মীকে।
ওরা ছিল তিনজন
সেই এক পচা শব্দ–গণধর্ষণ।
লক্ষ্মী এখন হাসপাতালে।
কত বাকি আছে আর
আমরা যাব রসাতলে?
তিন)
আহা, আমাদের কি প্রতিভা!
আমাদের গায়ে সূর্যের আভা।
আমরা নারীদের ভালোবাসি–
নারীরা আমাদের মা,অর্ধেক আকাশ।
তারপর?
আমাদের ইচ্ছের বহির্প্রকাশ!
আমাদের মত্ততা মাতৃপূজনে।
আমাদের ক্ষমতা মাতৃধর্ষণে।
আমরা-ই তারা!
ধর্ষণে ও পূজনে দুনিয়া-সেরা।