নিজস্ব সংবাদদাতা, ইসলামপুর: ধারাবাহিক অবস্থান-বিক্ষোভের পাশাপাশি আমরণ অনশনে সামিল ইসলামপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।শুক্রবার বিদ্যালয়ের সামনে সকাল থেকেই আমরণ অনশনে সামিল হয়েছে ওই পড়ুয়ারা। টেস্ট পরীক্ষায় পাশ না করানো পর্যন্ত তাদের এই আমরণ অনশন চলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে পড়ুয়ারা। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে এলাকায়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জগদ্ধাত্রী সরকার জানান, মোট পাঁচটি বিষয়ের মধ্যে যারা পাঁচটি কিংবা চারটি বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে তাদেরকে কোন ভাবেই এলাউ করা সম্ভব হয়নি। বিগত বছরগুলোর মতো এ বছরও তারা ওই সিদ্ধান্তে বহাল থেকেছেন। তবে ন্যূনতম তিনটি বিষয়ে যারা পাশ করতে পারেনি তাদেরকে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই পঠন-পাঠনের মানের সঙ্গে আপস করতে তিনি রাজি নন। বিষয়টি ইসলামপুরের মহকুমা শাসককে জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
অন্যদিকে অনশনরত অবস্থায় আফরিন ইয়াসমিন নামে টেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া পড়ুয়া জানায়, কোনও বিদ্যালয়েই এমনটা করা হয়না। সকলকেই এলাউ করে দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে এই বিদ্যালয় এর জন্য অন্য রকম নিয়ম কেন করা হলো বলেও প্রশ্ন তোলে সে। অবিলম্বে তাদের কে টেস্ট পরীক্ষায় অ্যালাউ না করা হলে তারা আমরণ অনশনে সামিল হয়েছেন বলে হুঁশিয়ারি পড়ুয়াদের। উল্লেখ্য, ইসলামপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের দুইশ ছিচল্লিশ জন ছাত্রীর মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার টেস্টের ছত্রিশ জনকে পাস করাতে পারিনি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সোমবার থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রধান শিক্ষিকাকে বারবার অনুরোধ জানানো সত্ত্বেও ফিরে আসতে হয়েছে অভিভাবক, অভিভাবিকা এবং পড়ুয়াদের। আর এর পরেই প্রতিবাদে সরব হয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে শামিল হয় ওই পড়ুয়ারা।
বিদ্যালয় কতৃপক্ষের দাবি, বিষয়টি অত্যন্ত লজ্জাজনক। এবার শিক্ষা দপ্তরের এডুকেশন অফিসার জানিয়েছিলেন উত্তর দিনাজপুর জেলায় পাসের হার প্রচণ্ড কম। ঢালাওভাবে তাই টেস্ট পরীক্ষায় অ্যালাউ করবেন না। সেই অনুরোধ রাখতে গিয়েই যাদের নাম্বার সবচাইতে কম এমন ছত্রিশ জনকে আর শেষ পর্যন্ত পাশ করানো যায়নি। পঠন পাঠনের মান বজায় রাখতে গিয়ে এ বিষয়টি কোনোভাবেই আপস করা যাবে না।