অবতক খবর: নদিয়ার হরিণঘাটার ফতেহপুরে বৈকারায় তৃণমূল আইএসএফের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে দুই পক্ষের ২ জন করে আহত হয়েছে। উভয়ই পরস্পরের বিরুদ্ধে বো*মাবাজির অভিযোগ করেছে। এই বো*মাবাজির জেরে শহিদুল সেখ(৪৮) বো*মার আঘাতে ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন। তাঁকে পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে ঘোষণা করেন। তার ছেলে বাপি সেখকেও বাড়িতে গুরুতর আহত হয়ে কাতরাতে দেখা যায়।
অন্যদিকে, তৃণমূল কর্মীদের দাবি তাঁরা গ্রামের মানুষকে বাইকে করে বুথে নিয়ে যাচ্ছিল। এই রাগের তাদের ওপর বো*মাবাজি করে আইএসএফ কর্মী- সমর্থকরা। তাদের ছোঁড়ার বো*মায় দুজন তৃণমূল কর্মী গুরুতর আহত হন। আহতদের দাবি, বো*মা মারতে গিয়ে শহিদুল পা পিছলে বো*মার ওপরে পরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে বো*মা ফাটা মাত্রই তার শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। শহিদুলের স্ত্রীর দাবি, তার স্বামীকে তৃণমূলেরাই বো*মা মেরেছে। তিনি আরও দাবি করেন, তার স্বামীও তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ সদস্য।
তৃনমূলের জেলা সভাপতি দেবাশিস গাঙ্গুলি জানান, আইএসএফ, বিজেপি, সিপিএম সব একজোট হয়ে এলাকা উত্তপ্ত করার চেষ্টা করে। তাদের ছোঁড়া বো*মাতে তিন তৃণমূল কর্মী আহত হয়েছে। তিনি জানান, দুর্ভাগ্যক্রমে হামলাকারী নিজেও বো*মায় উড়ে যায়।
এদিকে, নদীয়ারই ফতেহপুরের সত্যপোল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৯২,১৯৩,১৯৪ নম্বর বুথে অবাধে ভোট লুঠ চলে। সাংবাদিকরা খবর করতে গেলে তাদের ওপর চড়াও হয় তৃণমূলের লোকেরা। স্থানীয়রা জানিয়েছে, বুথে গেলেই তৃণমূলের লোকেরা ভোটার স্লিপ কেড়ে নিয়ে তাড়িয়ে দিচ্ছে। পুরুষ-মহিলা কোনও কিছুই মানছে না। যদিও শাসক দলের দাবি, কোনও বারই এই বুথে গন্ডগোল হয়না। আইএসএফ এইবারই ইচ্ছে করে গন্ডগোল বাঁধানোর চেষ্টা করছে।
অন্যদিকে, আইএসএফের ১৯৩ নম্বর বুথের প্রার্থী জানান, তাঁকে সকাল থেকে বুথে যেতে দেওয়া হয়নি।তিনি যাওয়ার চেষ্টা করলে বাইক থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী তার মোবাইল কেড়ে নেয় এবং তাঁকে তার ঘরে জোর করে বন্দি করে রেখেছে। তিনি কিছুই করতে পারছেন না। ভোটের নামে লুঠপাট চলছে। পুলিশ-প্রশাসন কেউই কোনও কথা শুনছে না।