অবতক খবর :: নদীয়া :: দীর্ঘদিন ধরেই শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার, সহ্য করতে না পেরে অবশেষে নিজের গায়ে আগুন জ্বেলে ২৭ বছরের গৃহবধূ প্রতিমা হালদার আত্মঘাতী । গৃহবধূর বাপের বাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার স্বামী ও শ্বশুর, শাশুড়ি। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার শান্তিপুর থানা এলাকায়।
সূত্রের খবর, বেলঘড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের চটকা তলার বাসিন্দা তারক বসাকের সঙ্গে শান্তিপুর মালোপাড়ার বাসিন্দা প্রতিমাদেবীর সঙ্গে ছয় বছর আগে সম্বন্ধ করে বিয়ে হয়। অভিযোগ বিয়ের পর থেকেই স্বামী এবং শ্বশুর শাশুড়ি বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার চালাতো।
অভিযোগ কয়েকদিন আগে বাড়িতে শাশুড়ির সঙ্গে অশান্তি হয় ওই গৃহবধূর। তখনই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ওই যুবতী নিজের গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। অভিযোগ তখন বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন স্বামী এবং শ্বশুর-শাশুড়ি প্রত্যেকেই। কিন্তু এই ঘটনা ঘটলেও তারা কেউ আটকানোর চেষ্টা করেনি। এরপর চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু হলে স্থানীয় বাসিন্দারা এসে গৃহবধূকে উদ্ধার করে প্রথমে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি দেখে চিকিৎসকরা তাকে কল্যাণী জহরলাল নেহরু হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে। আজ ভোর রাতে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়।
ওই যুবতীর মৃতদেহ কল্যাণী হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এলাকার ক্ষিপ্ত বাসিন্দারা গৃহবধূ শাশুড়ি মহুয়াকে বেধড়ক মারধর করে। খবর পেয়ে অভিযুক্ত শাশুড়ি মহুয়া বসাক কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এর পরেই ওই গৃহবধূর বাবার বাড়ির তরফ থেকে শান্তিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত স্বামী তারক বসাক, শশুর নারায়ন বসাক এবং শাশুড়ি কে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্তদের আজ রানাঘাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। এর পাশাপাশি এই ঘটনার পিছনে কি কি কারণ রয়েছে তাও তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।’