অবতক খবর , নদীয়া : আজ থেকে ত্রিশ চল্লিশ বছর আগে ছোট ছোট আঙুলগুলো নাম্বার ডায়াল এর পূর্ণ পাক দিতে ব্যর্থ হতো! কিন্তু অভিবাবকদের সহযোগিতায় কি ই ই ড়িং…. কি ড়িং রিং করার পর দেশে বিদেশে নিকটাত্মীয়র কণ্ঠস্বর শুনে অথবা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজের খবর পৌঁছানো বিশ্বকর্মারা আজ কেমন আছেন! হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন! ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড অর্থাৎ বিএসএনএলের কথা বলছিলাম। বিজ্ঞানের কল্যাণে, বেসরকারি তৎপরতায় দুরভাষের প্রভূত উন্নতি সাধন হলেও আজ ক্রমশ কর্মী সংকোচন এই বিভাগে।
কৃষি ক্ষেত্রে, শিশুর শিক্ষায়, সরকারি আবেদনে, ব্যবসা-বাণিজ্য অফিস-আদালত, রেশনেরলাইনে, মাছের বাজারে, সর্বত্র বিরাজমান মোবাইল। ব্যবহারকারীরা নেটওয়ার্ক সংস্থার দু-একটি নাম জানলেও বিএসএনএল সম্পর্কে অনেকেই ভুলতে বসেছেন। অথচ তাদেরই ব্যবসায়িক অনুমতি পেয়ে অন্যান্য নেটওয়ার্ক সংস্থাগুলি ফুলে-ফেঁপে ঢোল! ভলেন্টারি রিটারমেন্ট দিয়ে নতুন নিয়োগ না করে “কানেক্টিভ পিপল” এর বদলে “কালেক্টিভ মানি” হয়ে গেছে বর্তমান বিএসএনএল।
নদীয়ার শান্তিপুর মতিগঞ্জ মোড়ে ১৯৯৩ সাল থেকে বিএসএনএল অফিসে পরিচিত হয়ে আসছে বিশ্বকর্মা । সে সময় কর্মচারীদের বাড়ির সকলে এমনকি গ্রাহকরাও আজকের দিনে একসঙ্গে মধ্যহ্নভোজ সারতেন। সেসময় ৪০-৪৫ জন স্থায়ী কর্মচারীর থাকতেন সব সময় দুই-একজন থিকা কর্মচারী সহযোগিতার জন্য রাখা ছিলো। আজ চিত্রটা সম্পূর্ণ উল্টো হাতে গুনে কয়েকজন স্থায়ী কর্মচারী ১৪ জন ঠিকা কর্মচারী নিয়ে কোন রকমে পরিত্যক্ত অফিস হিসেবে চলছে ।
আজ বিশ্বকর্মা পুজোর দিনেও মূল সাইনবোর্ডটির সামনে গজিয়ে ওঠা গাছও পরিষ্কার হয়নি মনের মলিনতারর মতই। অথচ সরকার মনে করলেই গ্রাহক পরিষেবায় আজও এক নম্বর স্থান পেতে পারে। কিন্তু উদ্দেশ্যই যখন অর্থ উপার্জন তখন গ্রাহকপরিষেবা বা কর্মচারীদের স্থায়ী করণ কোনটাই আশা করা যায় না। স্মৃতি রোমন্থনে আবেগতাড়িত হয়েএমন বেশ কিছু ক্ষোভ উগরে এলো বিশ্বকর্মা পুজোর প্রার্থনাতেও। সকল কর্মচারী করজোরে তাদের প্রিয় আরাধ্য দেবতা কে জানালো মনের কথা। আজ বিশ্বকর্মা পুজো।