অবতক খবর,সংবাদদাতা,নদীয়া,১৯ই মে:: নদীয়ার হরিণঘাটা থানার অন্তর্গত নগরউখড়া পুলিশ ফাঁড়ির সংলগ্ন,মহাদেবপুর এলাকার বছর ১৯ এর গৃহবধূ জয়া দাসকে গলা টিপে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামী তন্ময় দেবনাথ এর বিরুদ্ধে। এরকমটাই চাঞ্চল্য কর অভিযোগ করলেন মৃত জয়া দাসের পরিবার। দীর্ঘদিন ধরেই পণের দাবিতে, মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার চালাত জয়া দাসের উপর তার স্বামী, এরকমটাই অভিযোগ করছেন মৃতের পিতা তারক দাস।

প্রায় বছর দেড়েক আগে জয়া দাস ও তন্ময় দেবনাথ নিজেরা ভালোবাসা করে পরিবারের অমতে পালিয়ে গিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বেশ কয়েক দিন সুখেই চলছিল তাদের ছোট্ট সংসার, কিন্তু কিছু দিন ভালোভাবে যেতে না যেতেই, জয়া দাস ও তন্ময় দেবনাথ এর মধ্যে বেশকিছু বিষয় নিয়ে খুঁটিনাটি লেগেই থাকত। গতকাল সন্ধ্যায় সপরিবারে একটি বিবাহ অনুষ্ঠানে যোগ দেন দেবনাথ পরিবার। তখনও সব ঠিকঠাক ছিল, কিন্তু বাড়ি ফিরে আসার পরেই ফের ছন্দপতন, জয়া দাস ও তন্ময় দেবনাথ এর মধ্যে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে বচসা এবং তা পরবর্তীতে পৌঁছায় হাতাহাতিতে। কিছুক্ষণ পরেই স্বামী তন্ময় দেবনাথ তাঁর স্ত্রী জয়া দাসকে নিয়ে পৌঁছায় হরিণঘাটা থানা অন্তর্গত জাগুলিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এবং সেখানেই বছর ১৯ এর গৃহবধূ জয়া দাসকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

চিকিৎসকরা প্রাথমিক অনুমান করেন জয়া দাসকে গলা টিপে খুন করা হয়েছে, কিন্তু সম্পূর্ণ ভাবে নিশ্চিত করা হবে ময়নাতদন্তের পর। এর পরেই জয়া দাস এর পরিবার হরিণঘাটা থানার অন্তর্গত নগরউখড়া পুলিশ ফাঁড়িতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে এবং তারই পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তে নামে নগরউখড়া পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ প্রশাসন। এর পরেই মাঝ রাস্তা থেকে জয়া দাসের স্বামী তন্ময় দেবনাথ ও তার পিতা অরুন দেবনাথকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় হরিণঘাটা থানায়। তার পাশাপাশি হরিণঘাটা থানার পুলিশ প্রশাসন ও নগরউখড়া ফাঁড়ির প্রশাসন যৌথভাবে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলে সূত্রের খবর।