অবতক খবর,৪ এপ্রিল,মলয় দে,নদীয়া:- দলের অন্দরে বিতর্কের মধ্য দিয়ে চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হল নদীয়ার হরিণঘাটা পৌরসভায়। পূর্বঘোষিত চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা করেও অন্যজনকে চেয়ারম্যান করায় ক্ষুব্দ দলের একাংশ।
পশ্চিমবঙ্গের পৌরসভা নির্বাচনের পর বিভিন্ন জায়গায় পৌরবোর্ড ইতিমধ্যে গঠন হয়ে গিয়েছে ,কিন্তু নদীয়া জেলার দুটি পৌরসভা হরিণঘাটা এবং চাকদা পুরো বোর্ড গঠন হিন ভাবে এতদিন ছিল । অবশেষে আজ চাকদা পৌরসভার পাশাপাশি হরিণঘাটা পৌরসভা তেও বোর্ড গঠন হলো, এবং শপথ গ্রহণ করলেন চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যান ।উল্লেখ করা যায় 17 ই মার্চ এই দুই পৌরসভার সমস্ত কাউন্সিলর শপথ নিলেও প্রশাসনিক আইন শৃংখলার কারণ দেখিয়ে বন্ধ হয়ে যায় পৌর প্রধান নির্বাচন ।
এরপর আজ সেখানে 144 ধারা জারি করে কড়া পুলিশি প্রহরায় পৌরসভার প্রধান এবং উপপ্রধান শপথ গ্রহণ করলেন । হরিণঘাটা পৌরসভা চেয়ারম্যান হিসেবে দেবাশীষ বসু এবং ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে সঞ্জীব রাম শপথ গ্রহণ করলেন আজ । এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক কর্তাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় ,
তবে হরিণঘাটার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি উত্তম সাহা দলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন, তিনি জানান যখন প্রথমেই একজনের নাম ঘোষণা করা হলো তারপর হঠাৎ করে তার নামের পরিবর্তে অন্য জনকে পদ দিয়ে দেয়া হলো । আমরা দলের সিদ্ধান্তকে সহমত প্রকাশ করছি, কিন্তু যাকে সবার সামনে চেয়ারম্যান হিসেবে নাম প্রস্তাব করা হলো সেই আজ ব্রাত্য , আজ যদি তার কিছু হয়ে যেত তার দায় কি দল নিত ? এমনভাবেই দলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন হরিণঘাটা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি উত্তম সাহা । তবে পৌর বোর্ড গঠনের পরে সভাপতি উত্তম সাহার এহেন মন্তব্যে আবারো তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এল নদীয়ার হরিণঘাটায় ।
যদিও এ বিষয়ে উচ্চ নেতৃত্বে কোন প্রতিক্রিয়া এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি, তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান দেবাশীষ বসু জানাচ্ছেন বর্তমানে যারা চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছে তারা দলীয় সিদ্ধান্তে হয়েছে । কিন্তু তাকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয় বিগত দিনে 17 তারিখ যে লিস্ট সামনে এসেছিল সেখানে যাদের নাম রয়েছে তাহলে সেটি কিসের লিস্ট তার উত্তরে তিনি জানান সেটি ফেক লিস্ট, রাজ্যস্তর থেকে তাদেরই নাম এসেছে । তবে বোর্ড গঠনের পরপরই হরিণঘাটা পৌরসভা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে ।