অবতক খবর: নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকে ভোট বয়কটের ডাক। জোর করে ভোট বন্ধ করে দিলেন স্থানীয়রা। বুথের ভিতর লুকিয়ে পুলিশ! হলদিয়ায় বাহিনী না থাকায় বুথের দরজা বন্ধ করে দিলেন বিরোধীরা।সাধারণ মানুষ পুলিশের পা ধরে বাহিনী চাইছে। হাতে বিষ নিয়ে প্রতিবাদ। বন্ধ ভোট গ্রহণ। অবশেষে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন। এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল তারাচাঁদ বাড়ের ৬৭ ও ৬৮ নম্বর বুথে। প্রায় তিন ঘন্টা ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল এই বুথে।
গ্রামবাসীরা দাবি করতে থাকেন কেন্দ্রীয় এই বুথেই ভোট দেওয়ার কথা তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ানের। কিন্তু তাকে বাধা দেওয়া হয় গ্রামবাসীদের তরফে ভোট দিতে। গ্রামবাসীরা পুলিশের পা ধরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানান। পুলিশের সামনে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন গ্রামবাসীরা। যদিও এই গ্রামে প্রায় তিন ঘন্টা বাদে ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
অন্যদিকে, এখনও ভোট গ্রহণ শুরু হয়নি হরিরামপুর ব্লকের সৈয়দপুর এলাকার বেজপুকুর এফপি ৩ নং বুথে। ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের অভিযোগ। অভিযোগের তির তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের হরিরামপুর ব্লক সভাপতি হাতেম আলীর স্ত্রী ওই বুথের প্রার্থী। তৃণমূলের লোকেরা ব্যালট পেপার ছিনতাই করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। ঘটনার প্রতিবাদে সকাল থেকেই বিক্ষোভ। এই বুথে রি-পোলিং হবে বলে জানা গিয়েছে।
হরিরামপুর ব্লকের দশ নম্বর সৈয়দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর আবাদপুরে তিন নাম্বার বুথে ২০০ ব্যালট পেপার চুরির অভিযোগ। ঘটনায় সকাল থেকেই ভোট বন্ধ। অভিযোগ প্রিসাইডিং অফিসারের মদতেই গতকাল রাতে ব্যালট পেপার চুরি হয়। ঘটনার পর থেকে এলাকায় চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে হরিরামপুর থানার পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। যদিও ভোট প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি। বাসিন্দারা চাইছেন পুনরায় নতুন ব্যালট বাক্সে ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হোক।