দেখুন তো মনে পড়ে কি না এই নাম?
শেষ পর্যন্ত ভোট পণ্য হয়ে গেল এই গ্রাম
শহিদের রক্ত বেচে আমরা ভোট কিনলাম!
নন্দীগ্রাম
তমাল সাহা
এটা কি সেই নন্দীগ্রাম
একদিন উত্তপ্ত চরম
যেখান থেকে ভরত নিয়ে গিয়েছিল
রামের খড়ম?
সেই নন্দীগ্রাম এখন লেখে অন্য রামায়ণ
ভোটের বাজার, বুথ দখলের বিশাল আয়োজন।
১৪ মার্চ, ১৪ জন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে খুন
নেতাদের শরীরে এখন ভোটের আগুন।
কোথায় আজ শহিদ দিবস!
শোক! চোখের জল!
চারিদিকে ভোটের হলাহল।
নন্দীগ্রাম পায়নি কি কিছুই?
পেয়েছে শ্বেতমর্মরে গাঁথা শহিদবেদি
গুলিবিদ্ধ রক্তমাখা শহিদের লাশ।
আজও নেই রুটিরুজির তালাশ।
এ পোড়া বসন্ত!
নেতারা সব ভোটের জন্য হন্তদন্ত।
কোথায় বিদ্বজ্জন!
কি হলো নরমেধ-যজ্ঞের তদন্ত?
শহিদেরা ক্ষমতার সওদা,হলো ভোটপণ্য।
ভোট শহিদের খুন চেটে খায়
নেতারা মালা নিয়ে পদযাত্রায়
কোথায় বিষাদ , চিহ্নহীন ক্রন্দন।
এরা মানুষের বাচ্চা নাকি!
দূর থেকে সমস্বরে ডেকে ওঠে
বরাহশাবক ও গর্দভনন্দন।