অবতক খবর,৯ সেপ্টেম্বর,নববারাকপুর : বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজা।দুর্গাপুজোর বাকি বাইশ দিন। আসন্ন দুর্গোৎসব কে সামনে রেখে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের নিউ বারাকপুর থানার উদ্যোগে বিভিন্ন ক্লাব সংগঠন গুলিকে নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় কৃষ্টি প্রেক্ষাগৃহে হল এক প্রশাসনিক সমন্বয় সভা।উপস্থিত ছিলেন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ঘোলা এসিপি তনয় চ্যাটার্জি, নববারাকপুর থানার ওসি বিজয় কুমার ঘোষ, ঘোলা থানার আইসি বিশ্ববন্ধু চট্টোরাজ, নববারাকপুর পুরসভার পুরপ্রধান প্রবীর সাহা,উপপুরপ্রধান স্বপ্না বিশ্বাস, বিশ্ব সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীসমীরেশ্বর, বিলকান্দা ১ও ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান চিত্তরঞ্জন মন্ডল, দীপা পাইক সহ নববারাকপুর বিদ্যূৎ, অগ্নিনির্বাপন, জিআরপি দপ্তরের আধিকারিক সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গন।
স্বাগত ভাষন দেন নববারাকপুর থানার ওসি বিজয় কুমার ঘোষ ।শারদীয়া প্রীতি শুভেচ্ছা জানিয়ে পুজোর সরকারী নির্দেশিকা বিধিনিষেধ গুলি বক্তব্য তুলে ধরেন। খোলামেলা মন্ডপ, রাস্তা আটকে মন্ডপ করা যাবে না, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, মাস্ক ছাড়া পুজো মন্ডপে প্রবেশ নিষিদ্ধ, শব্দযন্র নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে বলেন ওসি। পুরসভার পুরপ্রধান প্রবীর সাহা বলেন পুজো মন্ডপে থার্মোকল ও প্লাস্টিক নিষিদ্ধ ।এবছর দুর্গাপুজোকে অন্য মাত্রায় ভাবতে হবে। শুশৃঙ্লভাবে দায়িত্ব শীল হতে সকলকে।বাংলা দুর্গাপুজোকে আবহমান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। বাংলার সর্বজনীন দুর্গাপুজো হয়ে উঠল বিশ্বজনীন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে।
ইউনেস্কো স্বীকৃতি সন্মানকে স্বাগত জানিয়ে নববারাকপুর পুরসভার উদ্যোগে ২৪ সেপ্টেম্বর এক বর্ণাঢ্য সুসজ্জিত বর্নময় পদযাত্রা এক ঐতিহাসিক রুপ নেবে ঐদিন। গত ২০২১ সালের সেরা শারদ সন্মান প্রাপক প্রথম বিদ্রোহী স্পোর্টিং ক্লাব, দ্বিতীয় নবপল্লী এভারগ্রীন ক্লাব, তৃতীয় শিবাজী সংঘ এবং গ্রামাঞ্চলে প্রথম যুগবেড়িয়া যুবক সংঘ, দ্বিতীয় লেনিনগড় সুভাষ সংঘকে সুদৃশ্য ট্রফি তুলে দেওয়া হয় এদিন।এবছর নিউ বারাকপুর পুরসভা এবং বিলকান্দা ১ ও ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত সহ থানার অধীনে ৮৫ টি দুর্গাপুজো হচ্ছে। অনলাইনে ১২-১৫ সেপ্টেম্বর পোর্টালে রেজিস্ট্রেশন করা হবে।থাকবে হেল্প ডেস্ক থানায়। সিঙ্গেল উইংডো সিস্টেমের অনলাইন ২১-২২ হবে সোদপুর লোকসংস্কৃতি ভবন।অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন শিক্ষক সঞ্চালক অম্লান দাশগুপ্ত ।