অবতক খবর,৩১ জুলাই,নববারাকপুর : কৃতি পড়ুয়ারা আগামীর উজ্জ্বল ভবিষ্যত।তারা সমাজ তথা বাংলার মুখ উজ্জ্বল করবে।দেশ তথা সমাজের গর্ব ।নববারাকপুর পুরসভার ১১নং ওয়ার্ড কমিটির উদ্যোগে রবিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় সতীনসেন নগর মোড়ে এলাকায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে কৃতি শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষায় ও তাদের মায়েদের সন্মানিত করা হয়।উপস্থিত ছিলেন পুরসভার পুরপ্রধান প্রবীর সাহা, উপপুরপ্রধান স্বপ্না বিশ্বাস, সমাজসেবী সুখেন মজুমদার, তপন দাস, গুরুপদ সরকার, রাজ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য, ব্যারাকপুর পুরসভার পুর প্রতিনিধি জয়দীপ দাস সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের পুর প্রতিনিধি গন।পুরপ্রধান কৃতি ছাত্র ছাত্রীদের উদ্দেশ্য বলেন শুধু পুথিগত বিদ্যা শিক্ষা পড়াশোনা নয় আর্থ সামাজিক পরিকাঠামো উন্নয়নে সামাজিক নানাবিধ কাজকর্মে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।পড়াশোনা ও করতে হবে সামাজিক সংগঠনের সাথে নিজেকে যুক্ত রাখতে হবে বলেন পুরপ্রধান। সন্তান মানুষ করার ক্ষেত্রে পরিবারে যতটা না বাবারা থাকে মায়েদের একটা বড় ভূমিকা থাকে। তাই পুরসভা এলাকায় গত বছর থেকে কৃতি পড়ুয়াদের সংবর্ধনার পাশাপাশি তাদের মায়েদের ও সন্মানিত করা হয়। সংবর্ধিত করে আমরা নিজেরাই গৌরবান্বিত হলাম। নিজের পাড়ায় কেউ সংবর্ধিত হচ্ছেন এর থেকে আর বড় কিছু হতে পারে না। কৃতী পড়ুয়াদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করি।
তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন সংবর্ধনা শুধুমাত্র কৃতি দের সাফল্যের জন্য নয় আগামী প্রজন্মের একশ জনকে অনুপ্রাণিত করবে যারা প্রথম দ্বিতীয় হয় নি সেইসব ছাত্র ছাত্রীদের। আরো বেশি করে এই ধরনের অনুষ্ঠান হোক। এলাকার বিধায়ক সর্বদা চান নতুন নতুন ভালো ছেলে মেয়েরা সর্বদা উঠে আসুক কলেজ থেকে। এলাকায় কৃতি পড়ুয়াদের উচ্চ শিক্ষায় উৎসাহ বা প্রেরণা প্রদানে সন্মাননা স্মারক, ফুলের স্তবক, কলম, মিষ্টির প্যাকেট এবং রত্নাগর্ভা মায়েদের উত্তরীয় ও বনসাই গাছ তুলে দেওয়া হয় এদিন।সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা ও সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন পুরসভার ১১নং ওয়ার্ডের পুর প্রতিনিধি সুমন দে।শেষে হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।