অবতক খবর,২০ জুনঃ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী আর সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন তৃণমূল মুখে যা বলে কাজে তার বিপরীত দিক করে। তারা প্রচার চালিয়ে ছিল পঞ্চায়েতে সবাই নমিনেশন করবে। এটা ছিল তাদের লোক দেখানো নমিনেশন পর্ব শেষ হওয়ার পরেই শুরু হয়েছে তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনী প্রতিটি প্রার্থীদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি ।

এ ব্যাপারে প্রশাসনে বলেও কোন সূরাহা হবে না, কারণ থানা গুলি সব তৃণমূলের নেতাদের কথায় চলে বললেন অধীর। তাই অধীর বলেন ভোটের আগেই যেভাবে সন্ত্রাস শুরু হয়েছে বিরোধী প্রার্থীরা বাড়িতে থাকতে পারছে না বাড়িতে পোস্টার পড়ছে মনোনয়নপত্র উঠিয়ে নেয়ার জন্য না হলে প্রাণে মেরে দেয়ার হুমকি লেখা থাকছে তাই তিনি বলেন খুব স্বাভাবিকভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া মানুষ ভোট দিতে পারবে না, ভোট দিতে গেলে মার খেতে হবে ছাড়া ভোটের দিন লুঠ করার পরিকল্পনা। কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া এই পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন সন্ত্রাস মুক্ত হওয়া মানে মূর্খের স্বর্গে বসবাস করা। অধীর বলেন এখনো পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে কেস আছে বলে নতুন করে খুন খারাপি হচ্ছে না কারণ তারা জানে এই সময়ে খুন খারাপি হলে রায় এ তার এফেক্ট পড়বে। তাই এখন তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনী চুপিসারে তাদের কাজ সারছেন। ভয় দেখাচ্ছে পোস্টার মারছে, পুলিশ গিয়ে ডাকছে তোমাদের খবর কি, তোমাদের ফোন নাম্বার কত নানা রকম কাইদা করে এখন একটা সাইলেন্ট হুমকি চলছে।

তিনি বলেন সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণা হওয়ার পর দেখবেন সন্ত্রাস বেড়ে যাবে, সে কারণে তিনি মনে করেন সুপ্রিম কোর্টের রায় এ বাংলায় মানুষের নিরাপত্তা কে নিশ্চিত করতে পারে। অধীর বলেন আজ আমাদের দলের হয়ে বিবেক তাংখা অধীর চৌধুরীর তরফ থেকে অনলাইনে তিনি অংশগ্রহণ করবেন, তিনি আজ অধীর চৌধুরীর হয়ে সওয়াল জবাব করবেন বলে অধীর চৌধুরী আজ সাংবাদিক বৈঠকে জানান। অধীর চৌধুরীকে আজ পশ্চিমবঙ্গ দিবস উপলক্ষে উপলক্ষে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন এটা কি বাংলার মানুষ স্বাধীনতা দিবস জানেন, প্রজাতন্ত্র দিবস জানি কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ দিবস কি? এই দিবসে পশ্চিমবঙ্গে হাতি ঘোড়া বাঘ ভাল্লুক কি হয়েছে? আজকের দিবসে, না এই দিনে দিদির হাতের তালুতে কোন নতুন পালক জন্মেছিল। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন যে এই দিনে কি আপনার আমার তালুতে কোন চুল গজিয়েছিল। অধীর বলেন কি কারণে কিসের জন্য পশ্চিমবঙ্গ দিবস?