চতুর্থ স্তম্ভের উপর আক্রমণ চলছেই। চলছে সরকারি সন্ত্রাস। এবার আক্রান্ত আরামবাগ টিভি। বড় বড় দালাল মিডিয়া, বিদ্বজ্জনরা চুপ!!
নাভিশ্বাস
তমাল সাহা
শালা! তুমি বড় সাংবাদিক হয়েছো?
নাও শালা এবার বোঝো! এবার মরো! লকডাউনের ভেতর হাইকোর্ট দৌড়াও!
জামিন নাও!
সরকারের বিরুদ্ধে তোকে কে বলতে বলেছিল শালা!
তুমি সরকারের ক্ষমতা জানো না?
সরকার সাতান্নটা কেন,
সাতশো সাতান্নটা ক্লাবকে টাকা বিলোবে!
তাতে তোর বাপের কি?
তোকে সব খবর করতেই হবে?
নে! এখন পাঁচটা এফআইআর খা!
চলুক পাঁচটা কেস আর
আদালতে রাতদিন দৌড়োও
পকেট ভর্তি টাকা নিয়ে!
এবার নাও শালা, নতুন ধারা!
রাত বারোটায় কেন গাছ কাটো?
খাও মিথ্যে অভিযোগ!
একা ঝামেলা তুমি পোহাবে কেন?
এবার পরিবার সহ ধোলাই খাও!
ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ো!
কি করলো সরকার?
তুমি রাষ্ট্রীয় ডালকুত্তা চেনো না?
মই বেয়ে দোতালায় উঠলো।গ্রিল ভাঙলো,
গ্রিল ভেঙে নীচে নামলো।
শাবল গাঁইতি দিয়ে মেইন গেট ভাঙলো।
কারা? কারা করলো?
পুলিশ, আর এ এফ, সিভিক, মস্তান
সংখ্যা কত?
কমপক্ষে তিরিশজন।
কি করলো?
মশারির ভেতর থেকে
টেনে হিঁচড়ে বার করলো
তোকে সফিকুল, তোর স্ত্রীকে
আর চার বছরের শিশু পুত্র ও
ন’বছরের শিশুকন্যাকে।
তারপর কি করলো?
জোর করে তুলে নিয়ে গেলো।
কোথায়?
বধ্যভূমি থানায়।
তারপর কি হলো?
পরদিন দুপুর দুটোয়
শিশু ছেলে-মেয়ে দুটো ছাড়া পেল।
আর সাতদিন
পুলিশ কাস্টডি হয়ে গেল তোদের।
এবার বল পুলিশের থার্ড ডিগ্রি
কি করে হজম করবি তোরা?
তোরা কারা?
তুই সফিকুল নিজে, তোর বউ ও
তোর সহযোগী সুরাজ আলি।
চতুর্থ স্তম্ভের কন্ঠরোধ হলো
কি না জানিনা,
সম্প্রচার বন্ধ হয়ে গেলো তোর
শুভ টিভি বার্তার।
বাতাস ফেলল দীর্ঘশ্বাস—
হায় রাষ্ট্র!
গণতন্ত্রের উঠেছে নাভিশ্বাস।