অবতক খবর,৩ নভেম্বর,নিউ বারাকপুর: বুধবার সন্ধ্যায় নিউ বারাকপুর পুরসভা পরিচালিত ডাঃ বি সি রায় জেনারেল হাসপাতাল ও মাতৃসদনে তুষার শয্যা কক্ষে দেহ সংরক্ষণ করা হয়। বৃহস্পতিবার কলকাতা আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল দেহদান করা হবে বলে জানান পুরসভার হাসপাতালে চেয়ারম্যান হৃষিকেশ রায়।বুধবার সকাল ১১-৫৫ মিনিট বারাসত নারায়ণী সুপার মাল্টি স্পেশালিটী হাসপাতালে মারা যান ৭৯ বছরের অবিবাহিত মীরা চক্রবর্তী। বাড়ি নিউ বারাকপুর পুরসভার ৬নং ওয়ার্ডে অশ্বিনী দত্ত রোডে।পরিবারের ইচ্ছানুযায়ী দেহ দান করবে কলকাতা আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
গত সোমবার বিকেলে পুরসভার হাসপাতালে উদ্বোধন হয়েছিল পিস হেভেনের অনুকরণে তুষার শয্যা কক্ষ ।বুধবার সন্ধ্যায় পুরসভার হাসপাতালে প্রথম শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ দেহ সংরক্ষণ করা হল। সামাজিক কাজে দেহ ব্যবহার করা হবে। নিউ বারাকপুর পুরসভা তুষার শয্যার চার্জ ধার্য করছে এক হাজার টাকা। নিউ বারাকপুরবাসীর কাছে গর্বিত। হাসপাতালে দেহ সংরক্ষণ করে দেহ দান করে সামাজিক কাজে ব্যবহার করছে পরিবারের লোকজন মৃত মহিলার ইচ্ছানুযায়ী।পরিবারের লোকজন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন পুরসভার হাসপাতালে এই প্রথম দেহ সংরক্ষিত করে রাখার সুব্যবস্থা। অভিনন্দন জানিয়েছেন পুরসভার পুরপ্রধানকেও।
মৃত্যুর আগে দেহ দান করবার অঙ্গীকারবদ্ধ করেছিলেন ৭৯ বছরের অবিবাহিত অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মী।২০২০ সালে গণ দর্পণ সংস্থার স্বাক্ষর করেছিলেন মৃত্যুর পর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দেহ দান করা হয় এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ অন্যত্র মানুষের কাজে লাগে। ১৪ অক্টোবর বারাসত বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। বার্ধক্য জনিত কারণে অসুস্থ ছিলেন। বুধবার সকালে ১১-৫৫ মিনিট মারা যান। ঐদিন সন্ধ্যায় দেহ সংরক্ষিত করে রাখা হয় শীততাপ নিয়ন্ত্রিত নিউ বারাকপুর পুরসভার ডাঃ বি সি রায় জেনারেল হাসপাতাল ও মাতৃসদনে তুষার শয্যা কক্ষে।বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালে থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতা আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পরিবারের লোকজন পুরসভার এহেন মহতি প্রয়াসকে সাধুবাদ জানান।গত সোমবার পুরসভার হাসপাতালে উদ্বোধন হয় শীততাপ নিয়ন্ত্রিত পিস হেভেনের অনুকরণে তুষার শয্যা কক্ষ ।বুধবার সন্ধ্যায় দেহ সংরক্ষিত করল পুরসভার ৬নং ওয়ার্ডের অশ্বিনী দত্ত রোডে ৭৯ বছর বাসিন্দা মীরা চক্রবর্তী।