অবতক খবর , সংবাদদাতা , হাওড়া :- বড় মস্তান তো তপন দাশগুপ্ত, ওরা কি মস্তানি করবে। পোলবা দাদপুর ব্লকের ব্যথায় তৃণমূলের দলীয় কর্মী সভায় বিস্ফোরক রাজ্যের মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, দলে মাতব্বরি করে কোন লাভ নেই। আমাকে হারানোর চক্রান্ত করলে আপনি চক্রান্তকে পড়বেন। আমি আবার একুশে জিতবো। আমি একুশে যার যার থেকে নামের তালিকা পাব , আমার পুলিশ দুনম্বরদের তালিকা তৈরি করবে। দুদিক দিয়ে মার শুরু হবে। একদিক দিয়ে বিজেপি সিপিআইএম আর ঘরের মধ্যে যারা শত্রু মীরজাফর তাদেরও আমি ছেড়ে কথা বলবো না। ১ ইঞ্চি মাটি ছাড়বো না। আমার কর্মীরা কষ্ট করবে, কর্মীরা দল করবে, কর্মীরা পোস্টার মারবে , আর তুমি একটা ভোগ খোর দল ভাঙবে । বলছে আমি মস্তান, বড় মস্তান তো তপন দাশগুপ্ত আছে, কি মস্তানি করবে।
২০০৮ সালে মহানাদের চল্লিশটা গাড়ি নিয়ে সিপিএমকে মেরেছিলাম ভুলে গেছে সেসব দিন। এদিন তিনি হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় কে আক্রমণ করেও বলেন, করোনার সময় গরীব মানুষকে খাবার দিয়েছি, আর লকেট সুন্দরী কোথায় আছে ? কেউ নেই। আবার ভোট পাখি আসবে বলবে ভোট দিন। এদিন তিনি নাম না করে কিষান মোর্চার রাজ্য কমিটির সম্পাদক স্বরাজ ঘোষ কে উদ্দেশ্য করে বলেন, হারিটে একজন প্রোমোটার তার ছবি মুকুল রায়ের সাথে। সে আবার কোমড়ে মেশিন নিয়ে ঘোরে। সে জানেনা মেশিনের মুখটা উল্টো দিকে ঘুরাতে আমার এক মিনিট সময় লাগেবে না। আমি আমার এলাকায় অশান্তি চাই না। আমার কর্মীদের কেউ আঘাত করলে আমি তোর চৌদ্দ পুরুষকেও ছাড়বো না।
এদিন পাল্টা আক্রমণ করতে ছাড়েনি বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য ভাস্কর ভট্টাচার্য্য ,তিনি বলেন মন্ত্রীর মুখের যে ভাষা তাতে বোঝা যায় এটা কোন দলের মন্ত্রী। তিনি নাকি সব থেকে বড় মস্তান। তিনি নিজেই বলছেন। তারা রাজনীতি করলেন কবে। যেদিন থেকে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল সেদিন থেকে খুনোখুনি, বোমাবাজি, মারধর ভোট লুট করা ছিনতাই করা ছাপ্পা ভোট করা পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে বিধানসভা ভোট এইভাবে জিতে এসেছে, মস্তানি করে গুন্ডামি করে। রাজনীতি তারা জানে না। করতেও পারবে না। তাই তারা আজকে হেরে বসে আছে।