অবতক খবর,১৪ আগস্ট,মলয় দে নদীয়া:-নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর স্মৃতি আজও তরতাজা নবদ্বীপের রাধারমন সেবাশ্রম আশ্রমে। আমাদের দেশের স্বাধীনতা জন্য লড়াইয়ে থাকা ভারতবর্ষের মহান বিপ্লবীদের কথা বা কাহিনি ছড়িয়ে আছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।

পাশাপাশি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মধ্যে যার নাম সকলের প্রথমেই আসে ও যিনি সমগ্র দেশবাসীর হ্রদয়ে আজও শ্রদ্ধার সঙ্গে বিরাজ করে, তিনি নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর স্মৃতি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে আছে। তেমনই তাঁর স্মৃতি ছড়িয়ে আছে নদিয়ার নবদ্বীপ শহরেও।

নবদ্বীপ শহরের একাধিক জায়গায় রয়েছে তাঁর বহু স্মৃতি। তেমনই একটি মন্দির নবদ্বীপ শহরের বড়ালঘাট এলাকার রাধারমন সেবাশ্রম। জানা যায়, শুরু থেকেই নবদ্বীপ শহরের এই আশ্রমটি মানব সেবায় ব্রতী ছিল, তৎকালীন সময়ে একটি হাসপাতালও তৈরি করেছিল আশ্রম কতৃপক্ষ, কথিত আছে সেই সময়ের এটি একমাত্র হাসপাতাল ছিল নবদ্বীপ শহরে। মোটের ওপর ঈশ্বরের আরাধনার পাশাপাশি জীবন্ত মানুষের তথা জনসেবাই ছিল এই আশ্রমের প্রধান ব্রত।

আর এই আশ্রমের সেবামূলক কাজের কথা নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর কানে যায় এবং তিনি নবদ্বীপ শহরে যখন আসেন, বড়ালঘাট রাধারমন সেবাশ্রম আশ্রমের তৎকালীন কার্যকর্তাদের সঙ্গে কথাও বলেন এবং তাদের এই সেবা মূলক কাজের প্রশংসাও করেন ও নিজ হাতে সেবামূলক কাজ সহ নবদ্বীপ সম্পর্কেও লিখে যান।

বর্তমানে এই আশ্রমে প্রবেশ করলেই দেখা যায় নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর পূর্ণ অবয়ব মূর্তি, সঙ্গে তাঁর নিজ হাতে আশ্রমের সেবা মূলক কাজের প্রশংসা লেখা ছবি, যেখানে উল্লেখ করা আছে, “নবদ্বীপের রাধারমন সেবাশ্রম পরিদর্শন করিয়া বিশেষ আনন্দ হইলাম, বহু লোক মুখে এই প্রতিষ্ঠানের সুখ্যাতি শুনিয়া আসিতেছি, আজ স্ব-চক্ষে দেখিয়া তৃপ্তি লাভ করিলাম, যাহারা এই প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষক তাহারা ধন্য, ভগবানের নিকট এই পূণ্য প্রতিষ্ঠানটির উত্তরোত্তর উন্নতি কামনা করি।

নবদ্বীপ, ১৩-৬-২৮”

নীচে তার সাক্ষর,,

আশ্রমের তরফে জানা যায়, ২৩ জানুয়ারি দিনটি সন্মানের সঙ্গে আজও পালিত হয় এই মন্দিরে, পালিত হয় দেশের স্বাধীনতা দিবসও। স্বাধীনতা দিবসের দিন এখানে বসে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প। আজও আশ্রমের সেই সব জায়গায় গেলে শিউরে ওঠে শরীর। আজও যেন মনে হয় অনুভব হয় নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর অস্তিত্ব।