অবতক খবর : নৈহাটি পাওয়ার হাউস মোড়ে গত সন্ধে ৬টা নাগাদ পাড়ার এক প্রতিবেশী মারা যান। সেই ব্যক্তিকে সৎকার করে বাড়ি ফেরার পথে বিজেপির ডাকা জয়প্রকাশ মজুমদারের প্রতি তৃণমূল কংগ্রেস দলের হামলার প্রতিবাদে পথ অবরোধের সময় নৈহাটি পৌরসভার কাউন্সিলর মানস পালের ছেলে অংকন পাল এবং কাউন্সিলার মল্লিকা নন্দীর ছেলে রাহুল কুমার নন্দীর উপর নৈহাটি মন্ডল ২ এর সভাপতি সুব্রত দাসের নেতৃত্বে রড ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ চড়াও হয়ে প্রহার করে, এমনই অভিযোগ। এছাড়াও চশমা ভাঙ্গা ও সোনার চেন নিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তোলেন কাউন্সিলার মল্লিকা নন্দী স্বামী প্রদীপ নন্দী। এ ব্যাপারে আক্রমণকারী সুব্রত দাস, সুদীপ্ত মণ্ডল, কার্তিক সিং ও সোম বাউলের নামে নৈহাটি থানায় এফআইআর (নং-৬৩০/১৯,তাং- ২৫/১১/২০১৯) দায়ের করেন। এই ব্যাপারে বিজেপির নৈহাটি মন্ডল ২ এর সভাপতি সুব্রত দাসের মন্তব্য চাওয়া হলে তিনি পাল্টা দাবি করে বলেন, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী জেএনইউ (J.N.U)-তে বিবেকানন্দের মূর্তি ভাঙার প্রতিবাদে মিছিলের পর পথসভা ও পথ অবরোধের সময় তৃণমূলের দুই কাউন্সিলর সহ ছেলে অংকন পাল ও রাহুল কুমার নন্দী দাদাগিরি ও গালিগালাজ করে। সেই সঙ্গে উপস্থিত দলীয় কর্মীদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করে। তারা এও অভিযোগ করেন যে, কাউন্সিলর সনৎ দে তাদের পাঠিয়েছেন। প্রেরিত ঐ দু’জনকেই আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে কর্মসূচি বানচাল করার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে বিজেপি কর্মীরা প্রতিরোধ করেন। ভবিষ্যতে বিজেপি দলের ডাকা কোন কর্মসূচি বানচাল করতে আসলে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করবে বলে হুঁশিয়ারি দেন বিজেপি কর্মীরা।