নিজস্ব সংবাদদাতা :: অবতক খবর :: নৈহাটী :: গতকাল নৈহাটি ছাইঘাটে বোমা নিষ্ক্রিয় স্থানের অধিবাসীদের মধ্যে এখনও আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট লক্ষ্য করা গেছে। যদিও বেলা বারোটার মধ্যে রাজ্য সরকারের সিআইডি বম স্কোয়াডের ৫ জনের টিম এসেছিলেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভিডিও রেকর্ডিং করে সমস্ত তথ্য নেন। এর সঙ্গে নৈহাটি পৌরসভার পক্ষ থেকে ব্যারাকপুর ব্লক১ সমষ্টির আধিকারিক তুহিন কান্তি ঘোষের নেতৃত্বে ৭ জনের টিম ক্ষতিগ্রস্ত সম্পত্তির বা আহতদের নামের লিস্ট তৈরি করার জন্য হোমওয়ার্ক করেন।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন নৈহাটি শহর যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সনৎ দে। এক প্রশ্নের উত্তরে যারা রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সার্ভে করতে এসেছিলেন তারা বলেন ৩৫ থেকে ৪০টি বাড়ির ক্ষয়ক্ষতির হিসাব পেয়েছেন। যদিও বিরোধী ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে নৈহাটি পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গণেশ দাস অভিযোগ করেন, পুলিশের অকর্মণ্যতার জন্য এত বড় বিস্ফোরণ হয়েছে। এও বলেন, গত দেবকের ঘটনা প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন বহুদিন যাবত বাজি কারখানার পিছনে বোমা তৈরির কারখানা চলছিল সেটা তৃণমূল কংগ্রেসের অজানা নয়।
কারণ সাম্প্রতিক দত্তপুকুরের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেখানেও দাঙ্গা হয়েছিল এবং এগুলি কাজে লাগানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। আসন্ন পৌরসভা ভোটে এই কারখানা থেকে তৈরি করা বোমাগুলো কাজে লাগাবেন এমনই অভিযোগ করেন। এছাড়াও তিনি আরো বলেন নৈহাটি সাট্টা কিছু দিন বন্ধ থাকার পর পুনরায় চালু হয়েছে। এরা সবাই মাসোয়ারা পয়সা দেন। যা পুলিশ কমিশনার থেকে বিধায়ক ভাগ পান বলে অভিযোগ করেন।
যদিও গতকাল বোমার মসলা নিষ্ক্রিয় করার আগে এলাকাবাসী সেটা না করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। আরও অভিযোগ করেন, গতকালের ঘটনায় কোনো ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি বা মাইকে প্রচার করেনি পুলিশ প্রশাসন। এমনই এলাকাবাসী অভিযোগ করেছে। এই বোমা নিষ্ক্রিয়র কাজ পুলিশ প্রশাসন এলাকাবাসীদের অন্ধকারে রেখে করছিল। এলাকাবাসীরা এর ক্ষতিপূরণ সহ পূর্ণ তদন্ত দাবি রাখে সংবাদমাধ্যমের কাছে।
পৌর প্রধান অশোক চ্যাটার্জী বলেন,যতদিন না পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি মেরামতি করে বসবাস করার উপযোগী হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্তদের অন্যত্র স্থানান্তর করে পুনরায় তাদের ফিরিয়ে আনবেন বলে জানান। এই সময় পর্যন্ত খাবার-দাবারের প্রক্রিয়া চালু থাকবে বলে তিনি জানান। এক প্রশ্নের উত্তরে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের ঘটনাস্থলে আসার প্রতিবাদ করে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে রাজনীতি করছেন বলে অভিযোগ করেন। মমতা ব্যানার্জী সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন বলে তিনি জানান।