অবতক খবর,১৮ আগস্ট: নৈহাটি গ্ৰামীণ বালিভাড়া অঞ্চলে তৃণমূলের যে পার্টি অফিস ছিল,তা গত ২৩শে মে,২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর বিজেপি নেতা গণেশ দাস এবং সাংসদ অর্জুন সিং-এর নেতৃত্বে ওই পার্টি অফিসে বোমাবাজি করে সবকিছু তছনছ করে দেওয়া হয়েছিল। এমনই অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূল নেতা সুবোধ অধিকারী।
কিন্তু ইদানিং ওই অঞ্চল থেকে স্থানীয়রা অভিযোগ করছিলেন যে, সেখানে নাকি প্রতিদিন নিয়ম করে মদের আসর বসে। ফলে বহিরাগতদের আনাগোনা সেখানে বেড়ে গিয়েছিল। যার কারণে ওই অঞ্চলে মহিলাদের যাতায়াত করা দুস্কর হয়ে পড়েছিল। স্থানীয়রা বলেন,’আমরা ভোট দিয়ে এমন একজন সাংসদকে নির্বাচন করেছি, যার কারণে মহিলাদের রাস্তায় বেরোনো দুস্কর হয়ে পড়েছে।’
এখন তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। তাই তারা আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে, তৃণমূল নেতা সুবোধ অধিকারী এবং পার্থ ভৌমিকের হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। আর যারা আজ যোগদান করেছেন তারা কেউই পূর্বে কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। এর পাশাপাশি তারা নিজেদের সমস্যা তুলে ধরেন তাদের কাছে।
সেখানে তাদের মূল সমস্যা নিকাশি ব্যবস্থা। কারণ সেখানে কোনো ড্রেন নেই। ড্রেনের উপর সব জায়গায় বসতি গড়ে উঠেছে।তাদের এই সমস্যার কথা শোনেন বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। সব শুনে তিনি বলেন, আগামী দু-তিন দিনের মধ্যেই ওই অঞ্চলে ড্রেন নির্মাণের কাজ শুরু হবে। কিন্তু তিনি সকলের কাছে অনুরোধ করেছেন যে, ড্রেন নির্মাণের পর তারা যেন কেউ ড্রেনের উপর বাড়িঘর তৈরি না করেন। এতে তাদেরই জল নিকাশি ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা দেবে।
এর পাশাপাশি পার্থ ভৌমিক এবং সুবোধ অধিকারী বলেন, “বিজেপির যে দুষ্কৃতীরা আপনাদের অঞ্চলে ঢুকে মদের আসর বসাচ্ছে, যার ফলে নষ্ট হচ্ছে অঞ্চলের পরিবেশ। সেটা আপনাদের নিজেদেরই কড়া হাতে ব্যবস্থা নিতে হবে। আপনারা যদি নিজেরাই চান যে এই সমস্ত অসামাজিক ক্রিয়া-কলাপ এই অঞ্চলে বন্ধ হোক,তবে আপনারাই ব্যবস্থা নিন। কারণ আমরা সব সময় এই অঞ্চলে থাকব না, থাকবেন আপনারা। সুতরাং আপনারা নিজেরাই নিজেদের বাড়ির মহিলাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করুন। প্রবেশ বন্ধ করে দিন বহিরাগত দুষ্কৃতীদের।”