অবতক খবর :: নৈহাটি :: নৈহাটি থানার আরবিসি রোডের বাসিন্দা অনিতা আহির তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক অশ্বিনী আহির ও জিতেন্দ্র আহিরের দলবল আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে নৈহাটি হাসপাতালের ২২ নং বেডে ভর্তি রয়েছেন।
ঘটনার সূত্রপাত উক্ত ৯১ নং আরবিসি রোডের আক্রান্ত অনিতা আহিরের ভাইয়ের পৈতৃক সূত্রের প্রায় ৪ বিঘা বাস্তু জমির মালিক হিসেবে বিবেক যাদব অংশীদার। উক্ত স্থানে কতিপয় ভাড়াটে আছেন ওই জমিতে।
ওই ভাড়াটেরা দীর্ঘ ২০০৪ সাল থেকে বাড়ি ভাড়া না দিয়ে জোরপূর্বক দখল নিয়ে আছেন। গত ৭ই জানুয়ারী,মঙ্গলবার জমির মালিক বিবেকবাবু ভাড়াটের কাছ থেকে ভাড়া নিতে গেলে তৃণমূল কংগ্রেস দলের অশ্বিনী আহির ও জিতেন্দ্র আহির দলবল বিবেক বাবুর উপর অকথ্য গালিগালাজ করে ঝাপিয়ে পড়েন।
এমনকি এও বলেন,’যা পারিস করবি।’ যদিও এই ঘটনা প্রসঙ্গে একটি জেনারেল ডায়েরি(নং৪১০/তাং৭.১.২০২০) করেন বিবেক বাবু।
অতঃপর গত ৮ই জানুয়ারি বুধবার উক্ত ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। রড,ইট,পাথর নিয়ে মারতে উদ্যোগ নেয় বিবেকবাবু ও তার বোন অনিতা আহিরকে।
এরসঙ্গে কিল, ঘুষি চালায় অশ্বিনী ও জিতেন্দ্রর দলবল। তাতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন অনিতা আহির।
এ বিষয়ে গতকাল নৈহাটি থানায় এফআইআর করতে গেলে নৈহাটি থানার লেডি এএসআই মহিলা অফিসার কল্পনা দত্ত অভিযোগকারীদের এফআইআরের স্টেটমেন্ট পাল্টে আনতে হবে এবং সেই দরখাস্ত ফেলে দেন বলে অভিযোগ করেন বিবেক বাবু। কারণ সেখানে মারামারি হয়েছে শুধু এমন লিখতে হবে। রড,ইট, পাথর দিয়ে মারা হয়েছে এসব লেখা যাবে না।
অতঃপর যেহেতু অভিযুক্তরা তৃণমূল কংগ্রেস দলের বলে নৈহাটি পৌরসভার পৌরপ্রধান অশোক চ্যাটার্জীর নিকট পাঠিয়ে দেন উক্ত মহিলা অফিসার। এমন অভিযোগ করেছেন বিবেক বাবু।
অভিযোগকারীরা আরো জানান, গতকাল সেই এফআইআর না নিয়ে সকাল-বিকেল দুই দফায় প্রায় তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় অতিবাহিত করে এফআইআর নেয়নি বলে লেডি অফিসার কল্পনা দত্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে নৈহাটি থানার লেডি অফিসার কল্পনা দত্তের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এই অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। আমাকে ফাঁসানোর জন্য পরিকল্পনা করে এ সমস্ত বলা হয়েছে।
আমি একজন মহিলা অফিসার হিসেবে এই কাজ করতে পারিনা। এটি আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমাদের এই কাজ করতে হবে। যে কেউ অভিযোগ করতে আসতে পারে তাদের অভিযোগ নিতে আমরা বাধ্য। এই বলে লেডি অফিসার কল্পনা দত্ত ঘটনা এড়িয়ে যান।
তিনি এও বলেন যে,এই ব্যাপারে যিনি দেখছেন আইও সন্দীপ দে সরকার। তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এই ঘটনা সম্পূর্ণ বড়বাবু জানেন। যা বলার বড়বাবু বলবেন। অর্থাৎ নৈহাটি থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ বলবেন। কিন্তু এ বিষয়ে নৈহাটি থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জের থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নৈহাটি পৌরসভার পৌরপ্রধান অশোক চ্যাটার্জীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আক্রান্তরা গতকাল এসেছিল, বিষয়টি আমি দেখছি। এই বলে তিনি এড়িয়ে যান।