অবতক খবর, সংবাদদাতা :: করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতেও সংক্রমণ রুখতে সারা দেশব্যাপী লক ডাউন চলছে। প্রায় সকলে ঘর বন্দী হয়ে রয়েছেন। সরকারি ও স্থায়ী কর্মচারীদের তেমন কোনো চাপ না থাকলেও দিনমজুর অস্থায়ী কর্মী গরীব রিকশাচালকের, দিন আনি দিন খাই যে সকল মানুষ আছেন তাদের অবস্থা খুবই শোচনীয় হয়ে উঠেছে। তাদের জীবন কিভাবে চলবে তারা কিভাবে বাঁচবে এ কথা না ভেবেই দেশের প্রধানমন্ত্রী 21 দিনের লক ডাউন ঘোষণা করে দিয়েছেন।করোনায় মারা যাওয়ার আগে মানুষ না খেয়ে মরতে শুরু করেছে। খিদেতে ছটফট করছে শিশুরা। তাদের শিশু ছটফট করলেও সেই সব গরিব বাবা-মা এর এই লক ডাউনের ফলে তাদের জন্য কিছুই করার নেই তারা পাথর হয়ে শুধু কান্নারত শিশুকে চোখের সামনে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যেতে দেখছেন।
গত দুদিন আগেই নৈহাটি স্টেশনে খাবার না পেয়ে এক হকারের মৃত্যু হয়েছে। এমন অবস্থায় বহু মানুষ আছেন যারা এই গরিবদের কান্না দেখে তাদের পাশে এসে দাঁড়াতে শুরু করেছেন। গরিব দিন মজুর ক্ষুধার্ত মানুষের পেটে ভাত বা খাবার তুলে দিতে এগিয়ে আসতে শুরু করেছেন বহু সমাজকর্মী ও সমাজসেবীরা।
এবার এই দায়িত্ব নামলেন নৈহাটি বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। নৈহাটি গরিব দরিদ্র দিনমজুর দিন আনি দিন খাই মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। গরিব মানুষকে তিনি বেছে নিয়ে তাদের বাড়ি বাড়ি খাবার পাঠাতে শুরু করেছেন তিনি তার বন্ধু বান্ধব ও সকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে।
6 নম্বর বিজয়নগর তৃণমূলের পার্টি অফিস থেকে রবিবার যুব সভাপতি , পার্থ দাসগুপ্ত বিভিন্ন কাউন্সিলর ও তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তারা টোটো গাড়ি করে খাবার বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেয়ার কর্মসূচিতে নেমে পড়লেন। বিধায়ক জানান আমার ক্ষমতা আমাদের যুব সভাপতি , কাউন্সিলরদের ক্ষমতায় যত টুকু পাারছি আমরা মানুষের পাশে দাঁড়াছি।
তিনি বলেন আমরা বিশেষ করে সে সকল মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি যাদের রাশন নেই । যারা রাশন পাচ্ছেন, তাদের হয়তো চলে যাবে। কিন্তু যারা পারছেন না বা যাদের রেশন কার্ড নেই এমন মানুষের কি হবে? তাই আমরা সে সকল মানুষকে বেছে নিয়েছি বাড়ি বাড়িতে তাদের জন্য খাদ্য সামগ্রী ₹ পৌঁছে দিয়ে আসছি। পার্থ ভৌমিক জানান সকল সমাজকর্মী ও সে সকল মানুষকে এগিয়ে আসার প্রয়োজন আছে যাদের কিছুটা হলেও সামর্থ্য আছে।
তিনি বলেন আপনারা প্রত্যেকে এগিয়ে আসুন। ক্ষুধার্ত মানুষের মুখে খাদ্য তুলে দেন,অন্য তুলে দেন। এটাই সেবা দেবার সময়। এটাই ঐক্য দেখানোর সময়।
যুব সভাপতি সনৎ দে জানান আমরা বিধায়কের নির্দেশ মেনে বাড়ি বাড়ি খাবার বা খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছি ।এছাড়াও যদি কেউ অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন যাদের কাছে কোন কারণে আমরা হয়তো পৌঁছাতে পারিনি বা তারা আমাদের তালিকাভুক্ত হতে পারেননি তারা সরাসরি আমার 6 ন তৃণমূল পার্টি অফিসে যোগাযোগ করলে তাদের খাবার ব্যবস্থা আমি করব। তিনি বলেন আসুন সকলে মিলে মানুষের পাশে দাঁড়াই