অবতক খবর,১৫ মার্চ:নদীয়া:- বিয়ের ৬ বছরের মাথায় এক গৃহবধূকে প্রচণ্ড মারধোর করে গায়ে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার শান্তিপুরের ঢাকা পাড়ায়। মৃত ওই গৃহবধূর বাড়ির লোকজনের অভিযোগ,’ বিয়ের পর থেকেই ওই গৃহবধূর ওপর শারীরিক নির্যাতন ও মানসিক নির্যাতন চালানো হতো।
বাপের বাড়ি থেকে টাকা পয়সা দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হতো। এমনকি কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। সোমবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ওই গৃহবধূকে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। যদিও চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত ওই গৃহবধূর নাম মিনা পাল। বয়স ২৫ বছর।৬ বছর আগে বীরনগরের পালপাড়ার বাসিন্দা মিনার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল শান্তিপুরের ঢাকা পাড়ার বাসিন্দা উজ্জ্বল পালের।
পেশায় মোটর মেকানিক উজ্জল পালের বিরুদ্ধে মৃত ওই গৃহবধূর দাদা বিশ্বজিৎ পাল অভিযোগ করেছেন,’ মাঝেমধ্যেই মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে ফিরে তার বোনের ওপরে অত্যাচার করত উজ্জল পাল। আমাদের বাড়ি থেকে টাকা পয়সা নেওয়ার জন্য বোনের উপর চাপ দিত। উজ্জল পাল ও তার বাড়ির লোকজন আমার বোনকে প্রচণ্ড মারধোর করে গায়ে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মেরে ফেলেছে। আমরা তাদের কঠোর শাস্তি চাই।’
মা উমা পালের দাবি, ওই শিশু কন্যা কেউ আগামী দিনে হত্যা করবে ওরা তাই সে থাকবে তাদের কাছে, শান্তিপুর থানার প্রশাসনকে এই অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
যদিও মিনার শাশুড়ি কল্পনা পালের বক্তব্য,’ আমার ছেলের সঙ্গে বৌমার কোনো অশান্তি হয়েছিল কিনা জানিনা। তবে সেই সময় বৌমা তার নিজের ঘরে একাই ছিল ।আমি ছিলাম আমার ঘরে। হঠাৎই পাশের বাড়ির লোকজন আগুন আগুন বলে চিৎকার করতে থাকে। তারপরেই দেখা যায়়় বৌমা গায়ে আগুন লাগিয়েছে।’