স্বাধীন ভারতবর্ষের গাঙ্গেয় উপত্যকা রচনা করে চলেছে এক মহা ইতিহাস– লড়াইয়ের ৬৬১তম দিনে তোদের কুর্নিশ জানাই, জানাই সেলাম!
পথেই যুদ্ধ যুদ্ধই পথ
তমাল সাহা
রণাঙ্গন বা যুদ্ধের ময়দান কাকে বলে আমি দেখেছি। ধাতব অস্ত্রের ঝনঝনানি ছাড়া কি কোনো যুদ্ধ করা যায়- এ প্রশ্ন উঠেছিল আমার কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে।
শরীর ও কন্ঠস্বর কোনো লড়াইয়ের অস্ত্র হতে পারে? রাষ্ট্র নিষ্ঠুর হতে পারে কিনা সে সম্বন্ধে আমি কিছুই বলবো না।
ছোটবেলা থেকে যারা ইতিহাস বই পড়েছে তারা সকলেই জানে শাসকের ইতিহাস বল প্রয়োগের ইতিহাস– এটা চিরসত্য।
শাসকের বিরুদ্ধে কি অসম লড়াই চলতে পারে?
লড়াকুদের হাতে যখন দৃশ্যমান কোনো হিংস্র অস্ত্রপাতি নেই,
লড়াকু জানে শুধু আছে যন্ত্রনা।
কারণ সামনে পিছনে চারদিক ঘিরে আছে পদাতিক বাহিনী— ব্যাটন টিয়ার গ্যাস জলকামান বন্দুক প্রিজন ভ্যান।
পথ রণক্ষেত্র হতে পারে? অবস্থান অনশন প্ল্যাকার্ড ব্যানার ফেস্টুনের লিখন যুদ্ধাস্ত্র হতে পারে?
গভীর অন্ধকার আক্রমণের প্রশস্ত সময়, এটা শাসক জানলেও লড়াকুরা জানেনা। সম্মুখ সমর প্রকাশ্যেই হওয়াই তো বিধেয়।
রামায়ণ মহাভারতে তো দেখেছি রাত্রিকালে স্কন্ধাবারে বিশ্রামের প্রস্তুতি। বাইরে জ্বলছে মৃদু আলোর দীপশিখা।
ঋতুচক্রে বেলা যায়। পৃথিবীর ইতিহাসে ঋতু পর্যায়িক সমস্ত প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা ও বিপর্যয়কে তুড়ি মেরে চলমান যুদ্ধের ইতিহাস রচনা করতে করতে এগিয়ে যায় তারুণ্য নয়া প্রজন্ম– এ এক নয়া শিক্ষা।
যুদ্ধাঙ্গন সংলগ্ন অঞ্চলে দণ্ডায়মান পৃথিবীর আদি প্রাণ বৃক্ষসমূহ সাক্ষী থাকে। তারা দেখে নির্মম অত্যাচার চলে লড়াকু নারী ও তরুণদের উপর। শ্রদ্ধায় পাতা ও ফুল ঝরতে থাকে হেমন্তবেলায়।
যুদ্ধ কতদিন চলে? তা কি সংখ্যার উপর নির্ভর করে? মহাভারতের যুদ্ধ কত দিন চলেছিল?
স্বাধীন দেশে একটি ছোট্ট যুদ্ধ–পেটের দানাপানির লড়াই হকের অধিকারের লড়াই ৬০০ দিন অতিক্রম করে যায়।
আমার ভালোবাসার চুম্বন আজ তাদের দিকে ঘুরে যায়। আয়! রক্ততিলক পরিয়ে দিই তোদের মাথায়।
আজ সমস্ত ঘৃণা ক্রোধ চাঁদমারি হয়ে গেছে কোন দিকে সেই কথা লিখতে বাংলাভাষাও বোধ করি লজ্জা পায়!