১লা ফেব্রুয়ারী,মধ্যমগ্রাম : পথ নিরাপত্তার শেষ দিনে একটি র‍্যালির মধ্য দিয়ে শুভ সূচনা করলো বারাসত পুলিশ জেলার পুলিশ প্রশাসন। যেখানে পুলিশ সুপার থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, এসডিপিও,ডি এসপি ট্রাফিক সহ সকল পুলিশ আধিকারিকরাই পায়ে হেটে সচেতনতা বার্তা দিলেন। শুক্রবার পথ নিরাপত্তা সপ্তাহ পালনের শেষ দিন রাস্তায় হেলমেট না পড়ে চলা বাইক চালকদের দাঁড় করিয়ে হেলমেট দেওয়ার সাথে সাথে তাদেরকে ফাইনও করা হল।

এদিন মধ্যমগ্রাম ট্রাফিক গার্ডের তরফে পথ নিরাপত্তা উপলক্ষে মধ্যমগ্রাম চৌমাথায় একটি অভিনব স্বাস্থ্য সচেতনতার শিবিরের আয়োজন করা হয় যেখানে, ভারি ভারি যান বাহন চালানোর ক্ষেত্রে পায়ের বিশেষ ভূমিকা থাকে। তাতেই প্রয়োজন হয় শক্তিরও। তাই বোনমেরু টেস্টেরও বন্দোবস্ত করা হয়েছিল এদিন।

এরই পাশাপাশি প্রেসার ,সুগার, ইসিজি থেকে চোখের দৃষ্টি শক্তি পরীক্ষারও ব্যবস্থা করা হয়েছিল মধ্যমগ্রাম চৌমাথা এলাকায়।
এদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বারাসাত পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খড়িয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্পর্শ নীলাঙ্গী, এসডিপিও বিদ্যাগর অচিন্তা আনান্ত, ট্রাফিক ডিএসপি নিহার রঞ্জন রায় সহ মধ্যমগ্রাম ট্রাফিক ওসি দেবব্রত গিরি, আইসি মধ্যমগ্রাম সতীনাথ চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা।উপস্থিত হয়েছিলেন মধ্যমগ্রামের বিধায়ক তথা খাদ্য ও সরবরাহ মন্ত্রী রথীন ঘোষ,পুরপ্রধান নিমাই ঘোষ।

ব্যস্ততম এই মধ্যমগ্রাম চৌমাথা এলাকায় একদিকে যেমন যশোর রোড পাশাপাশি সোদপুর রোড মিলিত হওয়ায় প্রতি দিনই যানবাহনের ব্যাপক চাপ লক্ষ্য করা যায়। মঞ্চে সকলেই তাই ট্রাফিকের সহযোগিতায় ট্রাফিক আইন মেনে চলার বার্তা দেন। *পাশাপাশি মন্ত্রী রথীন ঘোষ যান নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে নতুন পরিকল্পনা কথা জানান এইদিন,তিনি বলেন যেসব টোটো সকালে চাবে তারা বিকেলে চালাবে না,একই ভাবে যারা বিকেলে চালাবে তারা সকালে চালাবে না।

অটোর ক্ষেত্রে একদিন অন্তর একদিন ভাগ ভাগ করে অটো চলবে তাহলেই মধ্যমগ্রামের বিশেষ করে যশোর রোডের যানজট মুক্ত হবে ।তিনি মধ্যমগ্রামবাসীদের উদ্দেশ্যে সকল মানুষকে ভূগর্ভস্থ পথ দিয়ে রাস্তা পারাপারের অনুরোধ করেন।আগের থেকে পথ দূর্ঘটনা অনেকটাই কমেছে,কিন্তু এখনো দুর্ঘটনায় যেসব মানুষের প্রাণ যাচ্ছে সেটাও যেনো না হয় সেইদিকটা সকলকে লক্ষ্য রাখার বার্তা দেন।।