অবতক খবর,২৮ আগস্ট,ব্যারাকপুর : বিগত কয়েক দিনে বেশ কয়েকজন মানুষকে উদ্ধার করেছে নিউ বারাকপুর থানা। তেমনি আরেকটি দৃষ্টান্ত পুনরায় স্থাপন করল উত্তর ২৪ পরগনা ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের এই প্রান্তিক থানা।
রাজনৈতিক ডামাডোলের মাঝখানে যখন পুরো রাজ্য উত্তপ্ত, তখন পুলিশ প্রশাসন ল এন্ড অর্ডার সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন। তেমনই সময়ে হঠাৎ গত মঙ্গলবার রাতে নিউ বারাকপুর থানার টহলদারি ভ্যান লক্ষ করেন পুরসভার ১ নং ওয়ার্ডে ভাঙাগড়া শীতলা মন্দির এলাকায় একজন উদভ্রান্ত ৬০ উর্ধ্বে মহিলা ঘোরাঘুরি করছেন।দেখেই মনে হল তিনি ভুল পথে চলে এসেছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে নিজের নামটুকু ছাড়া আর কিছু বলতে পারছিলেন না।
কর্তব্যরত অফিসার সুদীপ্ত বিশ্বাস বুঝতে পারেন মহিলা মানসিক সমস্যায় রয়েছে। থানার ওসির নির্দেশ মতো তিনি মহিলাকে থানায় নিয়ে আসেন।এবং সাময়িক সেবা সুশ্রষার পর আবার দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করেও ফলপ্রসূ সমাধান না পেয়ে পুলিশ আবারও সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নেয়।কিন্তু ১২ ঘন্টা কেটে গেলেও তেমন কোন সদর্থক সমাধান মিলছিল না। থানা এলাকায় বিভিন্ন ল এন্ড অর্ডারের মাঝখানে ও বৃদ্ধাকে নিয়ে আলাদা করে জিজ্ঞাসাবাদে বসেন থানার বড় বাবু।
মানসিক রোগীর সাথে পরম আত্মীক বার্তালাপে মিলে যায় সমাধান সূত্র। বৃদ্ধা তাঁর স্বর্গত পিতার নাম ও পিতৃগৃহের সম্পূর্ণ ঠিকানা বলতে পারেন। যেটি পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনা মহকুমার ধাত্রীগ্রাম পীয়ারিনগরে। সাথে সাথে কালনা থানার মাধ্যমে যোগাযোগ করা হয় মহিলার ভাইয়ের সাথে। সেখান থেকে পাওয়া যায় মহিলার একমাত্র মধ্যমগ্রাম নিবাসী পুত্রের ফোন নম্বর।
তার পরে পথ ভোলা মায়ের সাথে পুত্রের মিলন ঘটিয়ে বুধবার দুপুরে মধুরেণ সমাপয়েৎ আয়োজন করল নিউ বারাকপুর থানার ওসি সহ আধিকারিকরা।মহিলার নাম পুতুল মজুমদার। বাড়ি মধ্যমগ্রাম পুরসভার ১০ নং ওয়ার্ডে পূর্বাশা দক্ষিণ বঙ্কিম পল্লীতে।থানার ওসি সুমিত কুমার বৈদ্য জানান উনি আমার মায়ের বয়সী। মানসিক অসুস্থতার জন্য পথ হারিয়ে ফেলেছেন।
আজকে যদি আমার মা এরকম ভাবে পথ হারিয়ে ফেলতেন যেটা ছেলে হিসেবে করার দরকার সেটাই করেছি। স্বভাবতই হারানো মাকে ফিরে পেয়ে উচ্ছ্বসিত সন্তান কিংশুক বাবু। পুলিশ কে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি।