আজ প্রখ্যাত জীববিজ্ঞানী চার্লস ডারউইনের মৃত্যুদিন। ঊনিশে এপ্রিল। বাঁচার এবং সংগ্রামের মূল শিক্ষাটি তিনিই শিখিয়েছিলেন। তাঁকে নিয়ে লিখি।
পরাজিত ডারউইন
তমাল সাহা
ডারউইন প্রয়াত হয়েছেন।
তিনি জীববিজ্ঞানী ছিলেন,
এতো সকলেই জানেন।
তবে এই নির্বাচনী পরিবেশে
আমার তাকে খুব মনে পড়ে।
তিনি স্ট্রাগল ফর এক্সজিসটেন্স
রূপকের আড়ালে
কোন লড়াইয়ের কথাটি বলেছিলেন
প্রৌঢ়বেলায় আমি এখন তা বুঝতে পারি—
কীসের জন্য, কাদের বিরুদ্ধে তিনি সংগ্রামের কথা বলেছিলেন।
আমি তো আর ডারউইন নই,
তাই সোজা কথায় বলি,
তিনি ধরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন
সেই লড়াই হলো খিদে এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে।
বিবর্তনবাদে
তিনি খাপ খাইয়ে নেবার কথা বলেছিলেন।
কীভাবে ক্রমাগত নেতারা জোট ঘোঁট বেঁধে, অভিযোজন প্রক্রিয়ায় নিজেদের খাপ খাইয়ে নেবে তাও তিনি সুনিপুণ কৌশলে বলে গিয়েছিলেন।
তা এই তান্ত্রিক কালে ফলিত জ্ঞানে আমি বুঝে ফেলেছি।
তিনি বলেছিলেন,
সার্ভাইভাল অফ দ্য ফিটেস্ট, যোগ্যতমের উদ্বর্তনের কথা।
তিনি কোন যোগ্যতমের কথা বলতে চেয়েছিলেন, তাও আমি এখন বুঝে গিয়েছি।
তারা হবে পার্লামেন্ট ঘিরে ফেলা দাগি আসামি।
তারাই হবে সবচেয়ে যোগ্য।
বিবর্তনে তিনি বলেছিলেন,
মানুষ আর কোনোদিনও বাঁদরের যুগে
ফিরে যাবেনা।
কিন্তু মানুষ যে কোনোদিনই বাঁদরামি ছাড়তে পারবে না,
তা ডারউইন সাহেব বলে যাননি।
মানুষ উন্নত প্রজাতি বলেই
ডোরাকাটা দাগ তার গায়ে না থাকলেও
সে বাঘের চেয়েও হিংস্র।
কেননা বিবর্তনের ইতিহাস তো এগোনোর ইতিহাস—
হিংস্র থেকে হিংস্রতর,হিংস্রতম
হওয়াই তো প্রগতির সূচক!
এটা তিনি ব্যঙ্গ করে বলেছিলেন কিনা
আমি জানিনা।
তাই মানুষই মানুষ মারার জন্য গড়ে তোলে
পুলিশ লাইন, সেনা ছাউনি এবং অস্ত্রাগার।
কিন্তু বাঘেদের কোনো অস্ত্রাগার নেই।
এসব কোনো কথাই
তিনি খুলে বলে যান নি কেন,
তিনি কি মানুষকে ভয় পেয়েছিলেন বা
কেউ কি তাকে ভয় দেখিয়েছিল?
আমার কাছে তিনি পরাজিত ডারউইন।