অবতক খবর :: নদীয়া :: লকডাউনে কাজে বেরিয়ে পুলিশের হাতে খেতে হল বেধড়ক মার। অবশেষে কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ সাফাই কর্মী দের। ঘটনাটি নদীয়ার কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানা এলাকায়। উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ রুখতে নতুনভাবে দিন চিহ্নিত করে সম্পূর্ণ লকডাউন করার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। সেইমতো বুধবার তৃতীয় লোকজন ছিল।সকাল থেকেই জেলার প্রতিটি থানা এলাকায় পুলিশের টহলদারি ছিল রাস্তায় রাস্তায়।যারা রাস্তায় বেরিয়েছে তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।অপ্রয়োজনে রাস্তায় বেরোলে কোথাও লাঠিচার্জ করছে পুলিশ কোথাও আবার কান ধরে উঠবস করানো হচ্ছে। এমনকি গ্রেফতার করা হচ্ছে।
বুধবার জেলার বিভিন্ন থানা থেকে শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে লকডাউন চললেও যারা জরুরি পরিষেবায় কাজ করেন তাদের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে সরকার। তাদের মধ্যে রয়েছে সাফাই কর্মীরাও। যারা দিন-রাত পরিশ্রম করে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা আবহের মধ্যে ও পরিবেশকে সুস্থ রাখতে কাজ করে চলেছেন। সেইমতো বুধবার কাজে বেরিয়ে ছিল কৃষ্ণনগর পৌরসভায় কর্মরত একাধিক সাফাই কর্মী। কিন্তু তাদের অভিযোগ তাদের কাছে পরিচয় পত্র থাকা সত্ত্বেও পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ না করেই আচমকা মারতে শুরু করে। চলে বেধড়ক লাঠিচার্জ।
অভিযোগ বেশ কয়েকজন সহকর্মীকে মারধর করে পুলিশ। মূলত তারই প্রতিবাদে কাজ বন্ধ রেখে কৃষ্ণনগর পৌরসভার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে সাফাই কর্মীরা। তাদের দাবি যে সমস্ত পুলিশ কর্মীরা এই লাঠিচার্জ করেছে তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে প্রশাসনের। প্রয়োজনে কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। যদিও প্রশাসনের সঠিক তদন্ত শেষে অবশেষে বিক্ষোভ তুলে নেয় তারা।