অবতক খবর,শান্তিপুর,নদীয়া: পরিত্যক্ত কুয়োর ভেতরে একটি বিষধর গোখরো সাপ ও তিনটি গো সাপ গত সাতদিন ধরে ক্ষুধার্ত অবস্থায় একই ভাবে পড়ে রয়েছে কুয়োর মধ্যে। সাত দিন বাদে বনদপ্তরের কর্মী ও স্থানীয় বন্যপ্রাণী উদ্ধারকারীর প্রচেষ্টায় অবশেষে উদ্ধার হয় ওই বিষধর গোখরো সাপ সহ তিনটি গো সাপ।
ঘটনাটি শান্তিপুর বাগআঁচড়া রামকৃষ্ণ সারদা আশ্রমের। জানা যায় ওই আশ্রমের একটি পরিত্যক্ত কুয়োর মধ্যে গত সাতদিন ধরে একটি বিষধর গোখরো সাপ ও তিনটি গোসাপ পড়ে রয়েছে। লক্ষ্য করেন আশ্রমের পূজারীরা, বেশ কদিন ধরেই ওই আশ্রমের পূজারীরাও বিষধর গোখরা সাপ ও গোসাপ তিনটিকে উদ্ধার করার জন্য চেষ্টা চালায়। কোন মতেই সম্ভব না হওয়ায় শনিবার বনদপ্তরে ফোন করেন আশ্রমের পূজারীরা। শনিবার সন্ধ্যা ছটা ত্রিশ নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বনদপ্তরের দুজন কর্মীসহ শান্তিপুরের বন্যপ্রাণী উদ্ধারকারী অনুপম সাহা। প্রায় এক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় ওই বিষধর গোখরো সাপ সহ তিনটি গো সাপকে উদ্ধার করে।
যদিও বনদপ্তরের কর্মীরা জানান, কর্মজীবনে এই ধরনের বিরল চিত্র নজরে পড়েনি তাদের। উদ্ধারকার্যে শেষে বন্যপ্রাণী উদ্ধারকারী অনুপম সাহা সহ বনকর্মীরা জানান, স্বভাবতই সাতদিন ধরে ওই পরিতক্ত কুয়োর মধ্যে পড়ে থাকার কারণে ৪টি প্রাণীই ক্ষুধার্ত অবস্থায় ছিল। আর হয়তো দু-এক দিন গেলে মৃত্যু হতে পারত। তবে বিষধর গোখরো সাপ টিকে বনদপ্তরে নিয়ে যাবেন বলে জানান তারা। পাশাপাশি তিনটি গোসাপকে ওই পরিত্যক্ত কুয়ো থেকে উদ্ধার করে লাগোয়া একটি জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়। স্বভাবতই এই বিরল ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমত অবাক হয়ে পড়ে আশ্রমের পূজারীরা। উদ্ধার কার্যের শেষে অনেকটাই স্বস্তি মিলেছে পূজারীদের।