অবতক খবর,১৯ সেপ্টেম্বরঃ বাড়ির কাছে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা এক বয়স ৩৭ এর ছেলের। নাম আহিরুল হক বাড়ি সালার থানার সালু গ্রামের স্কুলপাড়ায়। স্থানীয় সুত্রে জানা যায় পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। আর্থিক টানাপোড়েনের জেরায় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রায় বিবাদ লেগেই থাকত। গত ছয়মাস আগে স্বামী স্ত্রীর মধ্য দূরত্ব তৈরি হয়,দুজনে আলাদা থাকত। সেই সময় আহিরুল হক ওরফে আশরাফ রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূলের একজন ভালো কর্মী ছিলেন বলে জানা যায়। পঞ্চায়েত ভোটে অক্লান্ত পরিশ্রম করে আর্থিক অনটনের জন্যে। পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজে যোগ দেয় দিল্লীতে।সেই সুযোগে আহিরুল হকের স্ত্রী নাজিনা বিবি বাড়ি এসে বসে এবং সেই খবর স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা মীর মহিরুদ্দিন ওরফে মোহন কে জানালে তিনি মিটমাট করার প্রতিশ্রুতি দেন।

হঠাৎ গতরাতে দীল্লি থেকে বাড়ি ফিরে আসলে মৃতার স্ত্রী নাজিনা বিবি গতরাতে দরজা খুলে দেয় নি তারপর রাতে অনেকেই ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে কেউ ফোন না তুললে শেষমেশ এই অঘটন ঘটে । সকালে তাঁরই এক আত্মীয় আহিরুল হকের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে খবর দেন সালার থানার পুলিশকে । পুলিশ এসে দেহ ময়নাতদন্তের জন্যে কান্দি মহকুমা মর্গে পাঠাই।

ঐ মৃতার স্ত্রী গোটা অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং বলেন তিনি বাড়িতেই ছিলেন না। আহিরুল হকের পরিবারের অভিযোগের তীর স্ত্রী ও স্ত্রীর পরিবারের দিকে । স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের সদস্যরা কি বলছেন শুনুন।

এভাবেই কত যুবক কাজের অভাবে ঋণগ্রস্ত হয়ে পাড়ি দিচ্ছে ভিনরাজ্য থেকে ভিনদেশে। তারপর লাশ হয়ে বাড়ি ফিরছে।