অবতক খবর: নেক্সট পরীক্ষা আপাতত স্থগিত করল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন। ১৩ জুলাই কমিশনের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১৯ সালের এমবিবিএস পড়ুয়াদের সম্ভবত ন্যাশনাল এক্সিট পরীক্ষা দিতে হবে না। যদিও সমস্ত কিছুই নির্ভর করছে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের আগামী সিদ্ধান্তের ওপর।
ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে ন্যাশনাল এক্সিট এক্সাম পরীক্ষা নিয়ে গেজেট প্রকাশিত করা হয়েছে। এই গেজেটে বলা হয়েছে, এমবিবিএস কোর্স সম্পূর্ণ করার পরে দিতে হবে ন্যাশনাল এক্সিট এক্সাম। সর্বভারতীয় স্তরে হবে এই পরীক্ষা। ন্যাশনাল এক্সিট এক্সাম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ইন্টার্ন করার সুযোগ মিলবে পড়ুয়াদের। তারপরেই চিকিৎসকের শংসাপত্র, রেজিস্ট্রেশন মিলবে। নতুন এই পরীক্ষা পদ্ধতি চালু হলে মেডিক্যাল পড়ুয়াদের কি কি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে, পরীক্ষার পদ্ধতি কী হবে সেই সমস্ত বিষয় গেজেটে উল্লেখ রয়েছে।
বর্তমানে চিকিৎসক হতে গেলে একজন পড়ুয়াকে সাড়ে চার বছরের এমবিবিএস কোর্স সম্পূর্ণ করার পর এক বছরের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসক হিসেবে কাজ করতে হয়। তারপরেই মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি পক্ষ থেকে সার্টিফিকেট ও চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেওয়া হয়। এই রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও শংসাপত্র পেলেই এমবিবিএস কোর্স সম্পূর্ণ করার পর চিকিৎসক হওয়া যায়। কিন্তু মেডিক্যাল কাউন্সিলের পক্ষ থেকে এই নিয়মের পরিবর্তন নিয়ে আসা হচ্ছে এ বার। সাড়ে চার বছরের এমবিবিএস কোর্স সম্পূর্ণ করার পর হবু চিকিৎসকরা শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শংসাপত্র পাবেন।
চিকিৎসকের শংসাপত্র ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর পেতে হলে দিতে হবে ন্যাশনাল এক্সিট এক্সাম। জাতীয় স্তরে অনুষ্ঠিত হবে এই পরীক্ষা। মেডিক্যাল কাউন্সিলের পক্ষ থেকে প্রতি বছর এই পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে এমবিবিএস সম্পূর্ণ করার নির্দিষ্ট বছরের মধ্যে এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিলের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক-সহ এমবিবিএস পড়ুয়াদের একাংশ।