অবতক খবর,১৯ মার্চ,অভিষেক দাস,মালদা: – পর পর ঘটনা, মালদায় মদই কি অপরাধের মূলে? গোটা রাজ্যের মধ্যে শুধুমাত্র মালদাতেই মদ বিক্রি র হিসেব চমকে দেওয়ার মতো। যে কোনো জেলাকে টেক্কা দিয়ে, শুধুমাত্র মালদা জেলাতেই দোলের দুই দিন গত শুক্র ও শনিবার মাত্র দুদিনে মদ বিক্রি হয়েছে অন্তত কুড়ি কোটি টাকার। এমনই হিসেব দিচ্ছে মালদা চেম্বার অফ কমার্স। যদিও তাঁদের দাবি এক্ষেত্রে বে আইনি পথে মদ বিক্রিও আছে। লাইসেন্স প্রাপ্ত যে সমস্ত দোকান রয়েছে সেখানেই বিক্রি হয়েছে ১২ কোটি টাকার। বাকি টাকা বে আইনি ভাবে মদ বিক্রি করে হয়েছে।
করোনা কালের পর থেকেই ক্রমশই মদের চাহিদা বেড়েছে এবং মদ বিক্রি অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। সেক্ষত্রে মালদা জেলায় মদ বিক্রির হার চোখে পড়ার মতো। তা সত্বেও চেম্বার অফ কমার্স এর দাবি গত বারের থেকে এবারে সরকারি অনুমোদিত দোকান গুলিতে মদ বিক্রি কমেছে। সেক্ষেত্রে অন্তত আরও ৫ থেকে ৬ কোটি টাকা এবছরে বিক্রি কম হয়েছে। সরকারি দোকানে মদ বিক্রি কম হলেও মদ খাওয়া কমে নি। বে আইনি পথে বিক্রি হচ্ছে পাচার হচ্ছে। এই সব হিসেব কিন্তু শুধুই ফরেন লিকারের ক্ষেত্রে।
বিদেশি মদ। দেশি মদ বিক্রিও কম নেই, তার বিক্রিও বেড়েছে। পাশাপাশি রয়েছে চোলাই বা অন্য মদ। যা আড়ালে বা চোরা পথে বিক্রি হয়। মালদায় গত কদিনে পর পর যে ঘটনা ঘটেছে তার পেছনে সব ক্ষত্রেই মদ। মালদা শহরে গুলি, কালিয়াচকের গোলাপগঞ্জের চরি অনন্তপুরে কুপিয়ে খুন, ভূতনিতে পঞ্চায়েত সচিবকে কুপিয়ে খুন সব ক্ষেত্রেই মদ্যপ অবস্থায় ছিল অভিযুক্ত এমনই অভিযোগ সামনে এসেছে। শুধু তাই নয়, বৈষ্ণবনগর থানা এলাকায় কিছুদিন আগে শিঙাড়া আর মদ চেয়ে না পাওয়ায় গুলি করে খুন করা হয় দু জনকে। একজনের মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলেই অন্যজনের পরে মৃত্যু হয়। এমনকি দুলাল সরকার খুনের ক্ষেত্রেও একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়মিত মাদক সেবন এবং মদ্যপান করত দূস্কৃতীরা, বহুদিন ধরে রেইকি করার সময়।