পশ্চিমবঙ্গের রূপকার
(মুখ্যমন্ত্রী ও চিকিৎসক বিধানচন্দ্র রায়কে সামনে রেখে)
প্রধানমন্ত্রী অথবা মুখ্যমন্ত্রী কে বড় কে ছোট কে জানে? প্রধানমন্ত্রীর পাশে এই মুখ্যমন্ত্রী দাঁড়ালেই প্রধানমন্ত্রী ছোট হয়ে যান মাপে।
এই মানুষটি দীর্ঘ এক মানুষ, উঁচু তার মাথা। ধুতি পাঞ্জাবিতে সর্বদাই তিনি সাফসুতরো। চোখ দুটো সুদূরপ্রসারী কালো চশমার ভেতরে আঁকা।
মানুষটিকে বলা হয় রূপকার।
সল্টলেক দুর্গাপুর কল্যাণী গড়ার কারিগর তিনি। সকলেরই জানা আছে এ সমাচার।
কাঁচরাপাড়ায় তিনি এসেছিলেন দুবার।
কাঁচরাপাড়ার পৌরপ্রধান এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তিনি—
জল নিয়ে ঘোর যুদ্ধ হয়েছিল রাইটার্স বিল্ডিংয়ে সেবার।
রাতারাতি জল এসেছিল কাঁচরাপাড়ার জনপদেঋ
শাস্ত্রীমশাই বিজয়ী ছিলেন সেই যুদ্ধরথে।
এই রূপকার মুখ্যমন্ত্রীর জামায়ও লেগে গিয়েছিল একটি কালো দাগ।
খাদ্যআন্দোলন তুমুল সেবার ভাতের অভাব গ্রাম থেকে মানুষেরা কলকাতায় এসে পেয়েছিল বেদম পুলিশি প্রহার।
দাদা ঠাকুর সেই বিদূষক নিজেই কাগজের ফেরিওয়ালা, নিজেই সাংবাদিক।
তিনি বলেছিলেন, যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিধান
সেটা তো ঠিক-ই
সে রাজ্য বি-ধান হওয়াই স্বাভাবিক!
সে যাই হোক এটা তো মানতেই হবে
তিনি শিশু ও স্বাস্থ্যের পাশে ছিলেন
তিনি ছিলেন প্রথিতযশা চিকিৎসক
রোগের জুজুবুড়ি ছিল তার হাতে একদম বশ
সেজন্যই তো তার জন্ম-মৃত্যুদিন এক বিশেষ দিন
জাতীয় চিকিৎসক দিবস।