বিনয় ভরদ্বাজ, অবতক খবর :: করোনা ভাইরাসে পশ্চিমবঙ্গে একই পরিবারের পাঁচ সদস্যের আক্রান্ত খবরটি ঠিক নয় । এটা আজকে এক প্রেস বার্তায় জানালেন নদীয়া জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিক অসিত কুমার দেওয়ান। প্রেস বার্তায় আগে স্বাস্থ্য আধিকারিকরা খোঁজখবর নেন ও কাটাছেঁড়া করেন খবরটি নিয়ে।

নদীয়া জেলার সংবাদিক দের অ্যাড্রেস করতে গিয়ে ডাঃ দেওয়ান বলেন যে তথ্য বেরিয়ে এসেছে তার অনুযায়ী 5 জন করোনা আক্রান্তের মধ্যে একজনও পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা নন। তাদের মধ্যে দুজন দিল্লি ও তিনজন উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা বলে তিনি জানান।

ডক্টর দেওয়ান জানান তাঁরা প্রত্যেকেই নদীয়া তেহট্ট টু তে বারনিয়া এক আত্মীয়র বাড়িতে এক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে এসেছিলেন। এরা তার আগে দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে মিলিত হন। সেখানে লন্ডন থেকে ফিরে ছিলেন অভিষেক মন্ডল তিনি এই মুহূর্তে দিল্লিতে করেনা আক্রান্ত ও ভর্তি রয়েছেন হাসপাতলে।

যারা 6 জন একসঙ্গে নদীয়াতে  এসেছিলেন তাদের মধ্যে 5 জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিয়েছে। উত্তরাখণ্ডে বাসিন্দা কল্পনা সমাদ্দার 37 বছর বাচ্চাদের নিয়ে এসেছিলেন তাতে একজনের বয়স 9 মাস ও অন্য আরেক শিশুর বয়স 6 বছর।

আরো একজন সুপ্রিয়া পাত্র তিনি দিল্লির বাসিন্দা। তার সঙ্গে এসেছে এক এগাররো বছরের শিশু অভয় পাত্র । মোট পাঁচজন এই মুহূর্তে আক্রান্ত তারা প্রত্যেকে এখন কলকাতায় চিকিৎসাধীন। তবে তাদের সঙ্গে আরেকজন ছিলেন তার নাম রাহুল সমাদ্দার আর্মির জওয়ান তিনি তাদের পরে এসেছিলেন আলাদাভাবে । তাকেও করেনটাইনে রাখা হয়েছে।

কৃষ্ণনগর জেলা সদরে এক সাংবাদিক বৈঠকে ডেপুটি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক  অসিত কুমার দেওয়ান জানান যে এরা গত 19 শে মার্চ দিল্লি থেকে রাজধানীতে রওয়ানা হন। 20 তারিখ শিয়ালদা নামেন। সেখানে তারা লালগোলা প্যাসেঞ্জার ট্রেনে উঠে জেনারেল বগি তে শিয়ালদা থেকে বেথুয়া ডহরি এসে পৌঁছান দুপুর দুটো ।সেখান থেকে টোটো করে তারা গ্রামের বাড়ি বারনিয়া মোহন মণ্ডলের বাড়িতে পৌঁছান।

এই মোহন মন্ডল ও তার স্ত্রী গীতা মন্ডল নদীয়ার বাসিন্দা । তার ছেলে অভিষেক মন্ডল গত 16 মার্চ লন্ডন থেকে দিল্লি ফিরেছিলেন। ছেলের সঙ্গে দেখা করে মোহন মন্ডল গীতা মন্ডল ফ্লাইটে কলকাতা ফিরে আসেন। পরে বাকিরা রাজধানী করে নদীযাতে পৌঁছান।

মোহন ও গীতা দেবীর ছেলে অভিষেক এই মুহূর্তে দিল্লিতে ভর্তি রয়েছে। তবে অভিষেক মন্ডল লন্ডন থেকে এই করোনা আক্রান্ত হয়ে দিল্লি ফিরেছিলেন।

জানা গেছে গত 27 তারিখ গীতা দেবীর বাবার বার্ষিক শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান ছিল কিন্তু তার আগেই তাদের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে যায়। তাই এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা 13 জনকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে দেখে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে । তাদের মধ্যে পাঁচজন আক্রান্ত রয়েছেন।

ডঃ দেওয়ান জানান তাদের পথে চলার দারুন যারা যারা সম্পর্কে এসেছেন তাদের সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে । যেমন সেই টোটো চালক যে দোকানে তারা বাজার করেছেন। তাদের ও এছাড়াও যারা যারা তাদের সম্পর্কে এসেছেন সকলকে খোঁজ-খবর নিয়ে তাদের শারীরিক পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।

ডাক্তার দেওয়ান আরো জানান যে যারা যারা এই আক্রান্তদের সম্পর্কে এসেছেন তারা যদি স্বেচ্ছায় তাদের সঙ্গে বা তাদের গ্রামের আশা কর্মী বা স্বাস্থ্য কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাহলে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে নেওয়া যেতে পারে রোগ আছে তাই তথ্য গোপন না করে তাদের নিজেই,নিজেকে ও নিজের পরিবারকে সকলকে বাঁচাতে এগিয়ে আসা উচিত।